জাতীয়

কানেকটিভিটি ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়

আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কানেকটিভিটি ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্বায়নের এ যুগে এককভাবে উন্নতি করা সম্ভব নয়।

Advertisement

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সিল্ক রোড ফোরাম’ উদ্বোধনকালে আলোচকরা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, ভিশন ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কানেকটিভিটি জরুরি। এ জন্য গত দশ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বশেষ যোগ দেয়া হয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনয়েশিয়েটিভে (বিআরআই)’। এটি সত্যিকার অর্থে দেশের কাজে আসবে।

তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড সরকারের একটি অগ্রাধিকার ভুক্ত কর্মসূচি।

Advertisement

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত জাং জু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হচ্ছে এক হাজার ৮৭৪ কোটি মার্কিন ডলারের। এটি বছরে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। সিল্ক রোড ফোরাম দুই দেশের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে। সেখানে তাদের কথা বলার সুযোগ হবে। যোগাযোগ ও চিন্তা বিনিময় করা যাবে।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশকে সামনে যেতে হলে ভারত চীন ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। শক্তিশালী অর্থনীতিতে পশ্চিমাদের তুলনায় পূর্বরা সক্রিয় হয়ে ওঠছে। অর্থনীতির দিকগুলো এখন পূর্বের দিকে স্থানান্তর হচ্ছে। এখন ভারত আমাদের ঘনিষ্ঠ এবং চীন হচ্ছে ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক থাকলেও যোগযোগ ব্যবস্থা দুর্বল। এটি আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দুর্বলতা কাটাতে এ ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, সিল্ক রোড ফোরাম আগামীতে কানেকটিভিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করতে পারবে। আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ আছে সেটিও মোকাবেলা করতে হবে।

লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এককভাবে কোনো উন্নতি করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো করতে হলে কানেকটিভিটি জরুরি।

Advertisement

সভায় বাংলাদেশ চীন সিল্ক রোড ফোরাম নামক একটি সংগঠন ও তার কমিটি ঘোষিত হয়।

গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান- দিলীপ বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ড. মঈন খান, হাসানুল হক ইনু, মোজাফফর হোসেন পল্টু, শরিফ নুরুল আম্বিয়া, রিয়াজ উদ্দীন আহমদ, ব্যারিস্টার আরশ আলী, সৈয়দ আবুল মকসুদ, মহাসচিব- শহিদুজ্জামান খান, যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, কোষাধ্যক্ষ- কামাল উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক- মোশাহিদ আহমেদ, দফতর সম্পাদক- আবু সাঈদ, সদস্য ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিমল বিশ্বাস, মঞ্জুরুল হাসান বুলবুল, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, ডা. মোশতাক হোসেন, মিজানুর রহমান খান, ইঞ্জি. আবুল কাশেম, সাদেক সিদ্দিকী, এবিএম খোরশেদ আলম, নাসিম মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ডা. সিরাজুল হক, মিসেস দীপা দত্ত, অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, আসাদুজ্জামান খান, অধ্যক্ষ জোহরা আনিস, রোকনুজ্জামান রোকন, মির্জা আনোয়ারুল হক, জহিরুল হক, জায়েদুল কবির।

এইউএ/এএইচ/এমএস