আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?

সিরিয়ার আকাশ প্রতিরোধক ব্যবস্থা কিছু ড্রোন এবং ছোট আকারের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। তারা বলছে, অতীতের মতো এবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইসরায়েল।

Advertisement

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীদের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের জবাব দেয়া হয়েছে রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন সিরিয়ার মেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে৷ 

হামলার ঘটনায় একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, বিমানঘাঁটিটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘অধিকৃত অঞ্চল (ইসরায়েল) থেকে ছোড়া উজ্জ্বল বস্তু প্রতিরোধ করেছে।’

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে যা ইসরায়েলের দিক থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার গণমাধ্যম।

Advertisement

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান রামি আব্দেল রহমান জানিয়েছেন, জারামানার কাছে এবং দামেস্কের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে রেহমান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল কেসা অঞ্চলে অবস্থিত ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডস (আইআরজিসি) এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ’র ঘাঁটি এবং অস্ত্রের গুদাম।

প্রসঙ্গত, এর আগে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশটির শত্রু হিসেবে বিবেচিত ইরান এবং সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র বিভিন্ন স্থাপনা।

তবে, ইসরায়েল শত্রু বিবেচনা করলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত এই দুই শক্তি সিরিয়ায় ২০১১ সালে আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকেই সেখানে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে।

Advertisement

ইসরায়েলের উদ্বেগ, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মাঝে ইরান সম্ভবত হিজবুল্লাহকে এমন সব অস্ত্র এবং দক্ষতা সরবরাহ করছে যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলে বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। তাই তারা এর প্রতিরোধে হামলা করছে। 

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনার পারদ ক্রমশ তুঙ্গে উঠছে। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরী, বোমারু বিমান পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এসএ/এমকেএইচ