দর্শকদের পয়সা উসুল করে বিনোদন দিতে জুড়ি নেই, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে উপরের দিকেই থাকবে থিসারা পেরেরার নাম। লঙ্কান এই অলরাউন্ডার নিজের দিনে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন বিশ্বমানের যে কোনো বোলিং আক্রমণকে। নিজেও বল হাতে কম যান না। ব্যাটে-বলের দুর্দান্ত এক প্যাকেজ পারফরমার থিসারা এবার শ্রীলঙ্কা দলের তুরুপের তাস হবেন নিঃসন্দেহে।
Advertisement
পরিসংখ্যান সব সময় সত্য কথা বলে না। ব্যাট হাতে থিসারা পেরেরা কি করতে পারেন, সেটি আসলে পরিসংখ্যান দেখে বোঝার উপায় নেই।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৫৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। রান করেছেন মাত্র ২০.৪০ গড়ে। তবে তার ব্যাটিং পজিশনটাও তো দেখতে হবে! ছয়-সাত নম্বরে নেমে কত বলই বা আর পাওয়া যায়? এই জায়গায় দরকার একজন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান, যে সামর্থ্য থিসারার চেয়ে ভালো বোধ হয় শ্রীলঙ্কা দলের আর কারোরই নেই। ওয়ানডেতে তার স্ট্রাইক রেটটা (১১২.৩৪) দেখলে কিছুটা আন্দাজ করা যায়।
বেশিদিন আগের কথা তো নয়। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের ৩২০ রান তাড়া করতে নেমে ১২৮ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল শ্রীলঙ্কা। এমন ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা, বড় পরাজয় এড়ানোই তো অসম্ভব ছিল। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রায় অসাধ্যই সাধন করে ফেলেছিলেন থিসারা।
Advertisement
সাত নম্বরে নেমে ৭৪ বলে ১৪০ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে বসেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা হারে মাত্র ২১ রানে, হাতে ছিল ২২টি বল। এই একটি ইনিংসই থিসারার সামর্থ্য প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
ও... ব্যাটিং নিয়ে বলতে গিয়ে তো তার বোলিং সামর্থ্যকে পেছনে ফেলা দেয়া হলো! ১৫৩ ওয়ানডেতে কিন্তু ১৬৯টি উইকেট আছে থিসারার, একজন পেস বোলারের জন্য যেটিকে বেশ ভালো পরিসংখ্যানই বলা চলে।
এমএমআর/আইএইচএস/এমএস
Advertisement