থাইল্যান্ডে এক কিশোরী মা তার নবজাতক সন্তানের জন্মের পর বাড়ির কাছেই একটি স্থানে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। কিন্তু একটা কুকুর ঘটনাটা দেখে ফেলে। যখন মা তার নবজাতককে মাটি চাপা দিয়ে চলে যায় তখন কুকুরটি জীবিত শিশুটিকে সেখান থেকে টেনে হিঁচরে তুলে আনে।
Advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, থাইল্যান্ডের বান নং খাম নামক গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিজের সন্তান জন্মদানের ব্যাপারটি পরিবারের কাছে লুকাতেই ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী মা তার নবজাতক সন্তানকে মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে তিনি নবজাতককে এভাবে ‘হত্যা’ করার প্রচেষ্টায় সফল হননি পিং পং নামক ওই কুকুরের কারণে। কুকুরটির মালিক বলছেন, ‘ঘটনাটি পিং পংয়ের চোখে পড়ায় সে সেখানে মাটি খোঁড়ার চেষ্টা করছিল। আমি দেখি ছোট্ট একটি শিশুর পা বের হয়ে আছে।’
আরও পড়ুন>> কুকুর-হরিণের খেলার ভিডিও ভাইরাল
Advertisement
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। শিশুটি এখন সুস্থ আছে। নবজাতকের মায়ের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পিং পং নামের ওই শিশুটির মালিক উসা নিশাইখা বলেন, ‘পিং পং খুব বিশ্বস্ত এবং অনুগত। তাই আমি তাকে রেখেছি। যখন আমি মাঠে গবাদি পশু চরাতে নিয়ে যাই সে আমাকে সব সময় সাহায্য করে। পিং পিংকে গ্রামের সবাই ভালোবোসে।’ গাড়ি দুর্ঘটনায় কুকুরটির একটি পা অকেঁজো বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাম ফুয়াং পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা পানুয়াত পুত্তাকাম স্থানীয় দৈনিক ব্যাংকক পোস্টকে বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই নবজাতককে এখন তার বাবা-মা এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্ববধানে রাখা হয়েছে। শিশুটির মা তার কাজে জন্য অনুতপ্ত। নবজাতকটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন তার নানা-নানি।
Advertisement
এসএ/এমকেএইচ