ভিড় নেই, সকাল সাড়ে ৯টায় কাউন্টারে এসেই সিরিয়াল পেয়ে যান সবুর মিয়া। চেয়ে বসেন ৩ জুনের টিকিট। কাউন্টার মাস্টার মুখের দিকে না তাকিয়েই বলে দিলেন টিকিট শেষ, পরদিন সকালের টিকিট চাইলেও জানানো হয়, শেষ ৪ তারিখ সকালের টিকিটও নেই। তবে অনেক খুঁজে টিকিট মেলে বাসের শেষের দিকের একটি সিটে।
Advertisement
রাজধানীর কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে বেরিয়ে সবুর মিয়া বলেন, বাড়ি যেতে হচ্ছেই। কী আর করা। ৪ তারিখের টিকিটেরও হাহাকার হবে ভাবিনি।
শুধু শ্যামলী নয়; হানিফ, এসআর, আল-হামরা, শ্যামলী এনআর পরিবহনেরও একই চিত্র। কাউন্টারে কমেছে ভিড়। অন্যদিকে নাবিল, আগমনী, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলসের টিকিট অনলাইনে দেয়ায় কাউন্টারে নেই টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কল্যাণপুরে ডিপজল ও শ্যামলী এনআর কাউন্টারে মিলছে ৩০ মে, ১ ও ৪ জুনের টিকিট। যদিও ৩ ও ৪ জুনের টিকিটে টান পড়েছে।
Advertisement
শ্যামলী এনআর কল্যাণপুর কাউন্টারের ইনচার্জ আহসান হাবীব বলেন, আমাদের বেশ কিছু নতুন বাস নামানো হয়েছে। এখন সব রুটের বেশ কিছু টিকিট রয়েছে। ভিড় কমেছে, কাউন্টারে এলেই মিলছে টিকিট।
ডিপজল পরিবহন কাউন্টারে কথা হয় রংপুরের যাত্রী মুহিতের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, তিন কাউন্টার ঘুরে ৩০ তারিখের রংপুরের টিকিট পাইনি। ডিপজলে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।
ডিপজল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আকমল হোসেন বলেন, এবার ঈদে আমাদের ২০টি বাস চলাচল করবে। যাত্রীসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে বাসের সংখ্যা কমানো হয়েছে। কিছু বাস রিজার্ভে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন, ভিড় কমেছে। এখন যারা টিকিট যারা চাইছেন অধিকাংশকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কাঙ্ক্ষিত ৩০ মে, ৩ ও ৪ জুনের টিকিট শেষ।
Advertisement
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৬টায়। রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, গাবতলী, মহাখালী ও আসাদগেট বাস কাউন্টারে দেয়া হচ্ছে অগ্রিম টিকিট।
জানা গেছে, ৫ জুন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে টিকিট বিক্রি চলছে। ৩০ মে বৃহস্পতিবার ২৪ রমজান। পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপরের দিন ২ জুন (২৭ রমজান) শবে কদরের ছুটি। ৩ জুন সবশেষ কর্মদিবস। যে কারণে এবার ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
জেইউ/বিএ/জেআইএম