মালদ্বীপের মডেল কন্যা ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে এবার মাঠে নামছে ইন্টারপোল। মরদেহের ভিসেরা প্রতিবেদনসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিবেদন চেয়েছে বিশ্ব পুলিশ সংস্থা। এরই মধ্যে এসব প্রতিবেদন চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠিও দিয়েছে মালদ্বীপ।
Advertisement
এরপরই এই মামলার সর্বশেষ তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) থেকে এ সংক্রান্ত এসব নথিপত্র তলব করেছে পুলিশ সদর দফতর।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের ইন্টারপোল ডেস্কের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চিঠি পেয়েছি। এরপর আমরা রাজশাহী অফিসকে বলছি জরুরি ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে।
এদিকে পিবিআই রাজশহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, রাউধা আথিফ আত্মহত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও ভিসেরা রিপোর্টসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন চেয়েছে পুলিশ সদর দফতর। সেগুলো পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
Advertisement
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রীনিবাসের দ্বিতীয় তলার ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধা আথিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই কক্ষে ওঠেন রাউধা। রাউধার বাড়ি মালদ্বীপের মালেতে।
তার বাবা মোহাম্মদ আতিফ পেশায় চিকিৎসক। রাউধা প্রতিষ্ঠানটির এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ নিয়ে ওই দিনই হাসপাতালের সচিব আব্দুল আজিজ রিয়াজ থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন।
এরপর নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ, নগর গোয়েন্দা পুলিশ এমনকি সিআইডি এই মৃত্যু রহস্য ভেদে কাজ করেছে। প্রতিবারই তদন্তে উঠে এসছে আত্মহত্যার তথ্য।
সর্বশেষ তদন্তে নেমে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন- এমনটিই তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার কথা জানিয়েছে পিবিআই। এনিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশের এই বিশেষ সংস্থা। তবে এসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন রাউধা আথিফের বাবা মোহাম্মদ আতিফ।
Advertisement
বিখ্যাত সাময়িকী ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ ২০১৬ সালের অক্টোবরে তাদের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা প্রকাশ করে। তাতে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের নিয়ে। ‘বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উদযাপন’ (সেলিব্রেটিং বিউটি ইন ডাইভার্সিটি) শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছিলেন মালদ্বীপের এই মডেল।
ভোগ ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদনের জন্য দেয়া সাক্ষাৎকারে রাউধা বলেছিলেন, মডেলিং আমার কাছে পেশা নয়, শখই বেশি। পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে মানুষকে সাহায্য করা আমার কাছে সব সময়ের জন্য স্বপ্ন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/জেআইএম