নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিভক্ত করার উদ্যোগ সঠিক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনকে যেভাবে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে বিভক্ত করা হয়েছে তেমনি সেবা সংস্থাগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
Advertisement
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শুক্রবার সাঈদ খোকনের মেয়র হিসেবে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘চার বছরে ফিরে দেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রস্তাব দেন তিনি।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের মতো অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত করা হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। সিটি কর্পোরেশন বিভক্তে প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল। এর ইতিবাচক ফলাফল এ শহরের মানুষ ভোগ করছেন। সুতরাং অন্যান্য সেবামূলক সংস্থাগুলোকে যদি উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করা হয়, আমার ধারণা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং নাগরিকদের সেবা আগের তুলনায় বেশি করে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিক সেবা প্রদান এবং নগরের উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে থাকা সমন্বয়হীনতা এখনও অনেক বড় মাপের প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে। নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।’
Advertisement
সাঈদ খোকন বলেন, ‘মেয়র হিসেবে আমার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন। তবে এতদিনে নগরে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পেরেছি আমরা। আমি কতটুকু সফল বা ব্যর্থতা তারাই বলবেন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে কোথাও কোথাও অনেক সফলতা পেয়েছি আবার কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে সফলতা আসেনি। তবে তার জন্য হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি, থাকব না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
এর আগে মেয়র চার বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আগামী বছর নগরবাসীকে পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদসহ ডিএসসিসির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এনডিএস/পিআর
Advertisement