‘সরকার খুব দ্রুতই ৫জি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা জনগণকে দিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দিয়ে ৫জির সুফল মিলবে না। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো জবাবদিহি নেই।’
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সেমিনার হলে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন যে, ২০২০-২০২১ সালের মধ্যে ৫জি চালু করবে সরকার। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ৫জি চালু করার জন্য আমরা কি প্রস্তুত? এমনকি অপারেটররা? কেউই না। তবে সরকার কীভাবে ৫জি আনতে চাচ্ছে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী সবসময় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, ন্যায়পরায়ণতা এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে নির্দেশ দিলেও অন্যান্য মন্ত্রণালয় পালন করলেও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রণ কমিশন এর বাইরে। এ খাতের নিয়ন্ত্রণে কমিশনের কোনো প্রকার জবাবদিহি নেই।
তিনি বলেন, এই কমিশন ২০১৬ সালে গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে গণশুনানি করেও আজ পর্যন্ত তার ফলাফল ঘোষণা করেনি। ভয়েস কলরেট বৃদ্ধি করার জন্য গ্রাহকদের মতামত না নিয়েই ভয়েস কলরেট বৃদ্ধি করেছে। ইন্টারনেটের মূল্য ও ভয়েস কলরেটের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামতের তোয়াক্কা করে না এই প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় অপারেটররা যত্রতত্র অফার, কলরেট বৃদ্ধি, কলড্রপ, ইন্টারনেট প্যাকেজে প্রতারণা করেই যাচ্ছে। যখন যে প্রযুক্তি তারা প্রয়োজন মনে করছে সে প্রযুক্তি যাচাই-বাছাই না করেই বা গ্রাহকদের সামর্থের কথা চিন্তা না করেই গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী অপারেটর আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, এনটিটিএন, এমএনপি ও নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন প্রকার জবাবদিহি নেই। অথচ গ্রাহকদের অর্থেই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়। গ্রাহকদের সুসংগঠিত না হওয়ার দুর্বলতাকেও তারা কাজে লাগাচ্ছে। সবচাইতে অবাক ব্যাপার হাইকোর্টের নির্দেশও কমিশন বা অপারেটররা পালন করছে না। গ্রাহকদের মনে প্রশ্ন যেখানে ৩জি পাওয়া যায় না সেখানে নামে মাত্র ৪জি দিয়েছে। এমতাবস্থায় যদি ৫জি প্রযুক্তি আসে তাহলে এটি শুধু কাগজেকলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে। গ্রাহকরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী উৎপল চন্দ্র দাস, আইটি প্রকৌশলী তন্ময় মালাকার, সংগঠনের সদস্য আমিনুল ইসলাম বুলু, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
এএস/জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement