ইরানকে মোকাবিলায় সর্বক্ষণ ওয়াশিংটেনর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এছাড়া তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইরানকে হুমকি মনে করছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুই দেশ সম্মিলিতভাবে ইরানকে ঠেকানোর বিষয়ে কাজ করবে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য চিরকালীন মিত্র দেশ। তাই বর্তমান সময়ে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্যতম হুমকি’ ইরানকে মোকাবিলায় দুই মিত্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে ইরান ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। তারপর গত ১৩ মে তারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি সম্মেলনেও তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরমি হান্ট এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বে ইরান যে একটা হুমকি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে সে বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত। যেহেতু আমরা সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’
Advertisement
সম্প্রতি ব্রিটিশ জেনারেল ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুললে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তাছাড়া ইরানে সঙ্গে ছয় জাতির যে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তিতেও থাকার কথা বলছে যুক্তরাজ্য।
তবে ব্রিটিশ জেনারেলের করা সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান মুখপাত্র নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ব্রিটিশ জেনারেলের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে মধ্যপ্রাচ্যে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম পাটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরী পারস্য উপসাগরে, পাঁচটি বি-৫২ বোমারু বিমান কাতারে এবং নতুন প্রযুক্তির প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
ইরান হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ‘বিশ্বাসযোগ্য ও সুনিদিষ্ট’ গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইরানে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর এমন ঘোষণা দেন।
Advertisement
এ ছাড়াও ইরানকে মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যে ১ লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সেনা মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যুদ্ধাবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারই নমুনা
ইরান অবশ্য বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় যেরকম ‘ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছিল ঠিক সেরকম করে যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে হামলার চক্রান্ত করছে বলে দাবি তেহরানের।
এসএ/পিআর