সাল ২০১৪, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে সফরে তিন ফরম্যাটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি টাইগাররা। ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশসহ সব ম্যাচই জিতেছিল ক্যারিবীয়রা।
Advertisement
তবে সেই যে ২০১৪ সালের আগস্টে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এরপর আর কোনো বহুজাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে সফলতার মুখ দেখা হয়নি ক্রিকেটের কুলীন এ দেশটির। তারপর থেকে একের পর এক সিরিজ হেরেই চলেছে তারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সে সিরিজের পর এখনো পর্যন্ত ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বসহ মোট ১৯টি বহুজাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে ১৭টিতেই তারা ছিলো ব্যর্থ। একটি সিরিজ হয়েছে পরিত্যক্ত এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজটিতে ২-২ ব্যবধানে ড্র করতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা।
সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে এবার সুযোগ পাঁচ বছরের সিরিজ জয়ের খরা কাটানোর। আর নিজেদের এই খরা কাটানোর প্রতিপক্ষ হিসেবে সেই বাংলাদেশকেই পেয়েছে জেসন হোল্ডারের দল। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই পাঁচ বছর কোনো সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়বে ক্যারিবীয়রা।
Advertisement
তবে বলতে যতোটা সহজ মনে হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাজটা তত সহজ নয়। কারণ এই একই দলের বিপক্ষে রবিন লিগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৬১ ও ২৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে পাত্তাই পায়নি তারা। হেসেখেলে জিতেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
তাই ফাইনালের আগে নিজেদের কাজগুলো গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে হারিয়ে খরা কাটাতে কী কী কাজ করতে হবে তাও জানিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আরও বেশি রান করতে হবে আমাদের। ফিল্ডিংয়েও আমরা নিজেদের ডুবিয়েছি। বেশ কিছু ক্যাচ নিতে পারিনি। বোলাররা মোটামুটি ভালোই করেছে। বেশ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সুযোগগুলো নিতে পারিনি আমরা।’
হোল্ডার আরও বলেন, ‘আমরা সলিড ক্রিকেট খেলতে চাই। মাঠে আমাদের চাওয়া প্রতিদিনই উন্নতি করা। কালকে উন্নতির আরেকটি সুযোগ। এখনও আমাদের দলটি বেশ তরুণ। বেশ অনভিজ্ঞ। ব্যাপারটা হলো সুযোগ কাজে লাগানোর। আমি স্রেফ দলকে বলব সুযোগ এলে কাজে লাগাতে।’
Advertisement
এদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা জন ক্যাম্পবেল সে ম্যাচের পর থেকেই পিঠের ইনজুরিতে রয়েছেন মাঠের বাইরে। অধিনায়ক জানালেন, ফাইনালেও তার ফেরা নিশ্চিত নয়, ‘ওকে (ক্যাম্পবেল) নিয়ে পুরো নিশ্চিত নই আমরা। এখনও পিঠে অস্বস্তি আছে। আজকে অনুশীলনের পর পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে অবস্থা।’
এসএএস/এমএস