আন্তর্জাতিক

অস্ট্রিয়ায় স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ

প্রাথমিক স্কুলে মুসলমান মেয়েদের হিজাব বা মাথায় যে কোনো ধরনের কাপড় পরা নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি একটি আইন পাশ করেছে অস্ট্রিয়া সরকার। তবে এ আইনকে বৈষম্যমূলক বিবেচনা করে দেশটির সাংবিধানিক আদালতে সেটি চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।

Advertisement

সংসদে দেশটির ক্ষমতাসীন মধ্য ডানপন্থি দল পিপল'স পার্টি এবং উগ্র ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টির সদস্যরা বিলটির পক্ষে ভোট দেন। তবে বিরোধী দলের প্রায় সব সদস্য বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

আইনটির লক্ষ্য শুধু মুসলমানরা নয়– এমন ধারণা দিতে সেটিতে লেখা হয়েছে, ‘যে কোনো আদর্শগত বা ধর্মীয় প্রভাবান্বিত পোশাক, যা মাথা ঢেকে রাখার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়, তা নিষিদ্ধ।’

আরও পড়ুন> হিজাব পরতে পারবেন তুরস্কের নারী সেনারা

Advertisement

বুধবার (১৫ মে) রাতে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, শিখদের পাগড়ি বা ইহুদিদের টুপি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। কারণ এ আইনে এমন মাথার কাপড়ের কথা বলা হয়েছে, যেটি সব চুল বা মাথার অধিকাংশ অংশ ঢেকে রাখে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে কিংবা বৃষ্টি ও তুষারপাত থেকে বাঁচতে মাথা ঢেকে রাখা যাবে।

দেশটির ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন যে, মূলত মুসলমান মেয়েদের জন্যই নতুন আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন> হিজাব পরে কংগ্রেসে গিয়ে ইতিহাস গড়লেন ইলহান ওমর

পিপল'স পার্টির আইনপ্রণেতা রুডল্ফ টাশনার বলেন, মেয়েদেরকে নতি স্বীকার করা থেকে মুক্ত করতে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

Advertisement

ফ্রিডম পার্টির শিক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র ভেন্ডিল্যান ম্যোলৎসার বলেন, নতুন এ আইনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে একটি বার্তা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমাজের মূলধারায় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

তবে সাবেক সামাজিক গণতন্ত্রী দলের শিক্ষামন্ত্রী সোনিয়া হামার্স্মিড্থ অন্ট্রিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টিগ্রেশন বা শিক্ষা বিষয়ক প্রকৃত সমস্যা সমাধানের বদলে সংবাদ শিরোনামে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন।

অস্ট্রিয়ার আনুষ্ঠানিক মুসলিম কমিউনিটি অর্গানাইজেশন নতুন আইনটিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ এবং শুধুমাত্র ‘মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে সেটির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এমএসএইচ/এমএস