বাংলাদেশের সামনে আবারও ট্রফি জয়ের হাতছানি। কখনোই যা অর্জন করা সম্ভব হয়নি, এবার তা সম্ভবের খুব কাছে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাশরাফিদের এবারের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ রবিন লিগের দুই পর্বেই খাবি খেয়েছে।
Advertisement
প্রথম পর্বে ৮ উইকেট ও ফিরতি ম্যাচে ৫ উইকেটে হার মানা ক্যারিবীয়রা ফাইনালে টাইগারদের সামনে কুলিয়ে উঠতে পারবে, অতি বড় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমর্থকও হয়তো এমনটা ভাবতে কয়েকবার চিন্তা করবেন। কারণ রবিন লিগেই প্রমাণ হয়েছে জেসন হোল্ডারের উইন্ডিজের চেয়ে মাশরাফির এই দলটি সবদিক থেকেই শ্রেয়তর, সুগঠিত, ব্যালেন্সড এবং তুলনামূলক পরিণত।
কাজেই হঠাৎ একটি খারাপ দিন না গেলে মাশরাফি-তামিমদের বিপক্ষে শাই হোপ, জেসন হোল্ডারদের পেরে ওঠা কঠিনই হবে। খেলাটা ক্রিকেট, যা সব সম্ভবে ভরা। অনিশ্চয়তা আর অসম্ভব বলে যাতে আসলে কিছু নেই। রবিন লিগে দুই পর্বে জিতে আজ ফাইনালে শেষ হাসি হাসবে বাংলাদেশই- তা জোর দিয়ে বলার অবকাশ নেই। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলেই এমনটা বলা।
এদিকে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বাংলাদেশ কি আজ নিজেদের সেরা দল নিয়েই মাঠে নামতে পারবে? ব্যাট ও বল হাতে সবচেয়ে বড় নির্ভরতা, এ আসরেও ব্যাট হাতে দুইটি অর্ধশতক হাঁকানো এবং ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে, হাইস্কোরিং ম্যাচেও ধারাবাহিকভাবে কিপটে বোলিং করা সাকিব আজ খেলতে পারবেন কি পারবেন না- তা নিয়ে রয়েছে রাজ্যের সংশয়।
Advertisement
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে সাইড স্ট্রেইনের কারণে নিজের ব্যাটিং শেষ না করেই মাঠ ছেড়ে যান সাকিব। পরে নামেননি বৃহস্পতিবার দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনেও। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করা হবে ম্যাচের দিন সকাল (বাংলাদেশ সময় দুপুর) পর্যন্ত।
তবে আপাতত সাকিবের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। দলের পক্ষ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
তবে ভেতরের খবর হলো, এখন সাকিবের মত চ্যাম্পিয়ন পারফরমারের ইনজুরি নিয়ে কোনরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। যে ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনেও।
এআরবি/এসএএস/এমএস
Advertisement