ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল কেন্দ্রের বিজেপি দলীয় প্রার্থী এবং মালগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর। মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে নিয়ে দক্ষিণের অভিনেতা ও রাজনীতিক কমল হাসানের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নাথুরাম গডসে দেশপ্রেমিক ছিলেন, দেশপ্রেমিক আছেন এবং দেশপ্রেমিক থাকবেন।’
Advertisement
চলতি সপ্তাহে নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তুলে তামিল অভিনেতা কমল হাসান বলেন, ‘ভারতের প্রথম চরমপন্থী সন্ত্রাসী ছিলেন একজন হিন্দু। তিনি মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে।’ কমলের এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে ভারতে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রজ্ঞাকে। তখনই তিনি করে বসেন বিতর্কিত মন্তব্য।
নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলার পাশাপাশি প্রজ্ঞা বলেন, ‘যারা নাথুরাম গডসেকে সন্ত্রাসবাদী বলেন, তাদের নিজেদের নিয়ে ভাবা উচিত। নির্বাচনের ফল বেরোলেই এরা জবাব পেয়ে যাবেন।’
আরও পড়ুন : স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারপিট
Advertisement
প্রজ্ঞার এই মন্তব্যের পর ঝড় উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে। ভারতীয় জাতির জনককে নিয়ে এমন মন্তব্যের জন্য দেশটির প্রায় সব রাজনৈতিক দলই তার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে এক বিবৃতি দিয়েছে বিজেপি। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রজ্ঞার মন্তব্যের সমালোচনা করছি। বিজেপি এই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে না। আমাদের দল প্রজ্ঞার কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবে। তার জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
ভারতে ১১ এপ্রিল থেকে নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন প্রজ্ঞা। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার সময় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হেমন্ত করকরের মৃত্যু তার অভিশাপেই হয়েছিল বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির এই নেত্রী।
এ ছাড়া বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্যও নিজেকে গর্বিত বলে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন এই নির্বাচনপর্বেই। তাকে নিরস্ত করতে তার প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রজ্ঞা যে দমবার নন, তা ফের প্রমাণিত হল ভারতীয় জাতির জনকের হত্যাকারীকে দেশপ্রেমিক তকমা দেয়ার মধ্যে।
এসআইএস/পিআর
Advertisement