রঙ মেশানো হলুদ বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। পরে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন র্যাব-২ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজারের হাসিনা মার্কেটে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্ব এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, ক্রেতাদের কাছে আস্ত হলুদকে চাকচিক্য করে তুলতে মেশানো হয়েছে রঙ।
অভিযানের সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এসব হলুদে হাত দিলে কৃত্রিম রঙ তার হাতে লেগে যায়। পরে তিনি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে দেখেন এগুলো হলুদের প্রাকৃতিক রঙ নয় ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল রঙ।
Advertisement
মেসার্স করিম এন্টারপ্রাইজ নামে হলুদের গুদামটির মালিকের অনুপস্থিতিতে গুদামটি সিলগালা করা হয় এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া হলুদ ও মরিচ রাখার অপরাধে আরও ৪টি মসলার গুদাম সিলগালা করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল রঙ এ গুদামের হলুদগুলোতে মেশানো হয়েছিল। যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই ৫টি গুদামকে সিলগালা করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে একটি গুদামকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসব গুদামের মালিকরা অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হলুদের গুদামে অভিযান শেষ করে র্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয় হাসিনা মার্কেটের দুটি খাবারের হোটেলের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বপনীল রেস্তোরাঁ-২ ও জনপ্রিয় খাবারের হোটেলের রান্না একই জায়গায় হয়। হোটেল দুটির রান্নঘর অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। রান্নাঘরটির চারদিকে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ওই পরিবেশেই খাবার তৈরি করা হচ্ছিল। এ ছাড়া ফ্রিজে নষ্ট আর পচাবাসী খাবারে পরিপূর্ণ দেখা যায়। হোটেল দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সাজানো-গোছানো হলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে ২ লাখ টাকা করে ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
এ বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং ক্রেতাদের পরিবেশন করায় হোটেল দুটিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া র্যাব-২ কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের ওপর নজরদারি রাখতে। পুনরায় একই ধরনের অপরাধ দেখা গেলে হোটেল দু’টিকে সিলগালা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জেইউ/এনডিএস/এমকেএইচ