ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে দেশটির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বিভিন্নস্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
Advertisement
কাশ্মীরের গত ৩০ বছরের সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃহস্পতিবারের এই প্রাণহানির ঘটনা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জেলায় দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়ি বহরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
হামলার জবাব দিতে যেকোনো ধরনের পদেক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতা দেশটির সামরিক বাহিনীকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকে প্রায় প্রত্যেকদিন কাশ্মীরের গ্রামে গ্রামে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে নিরাপত্তাবাহিনী। অনেক সময় সহিংসতার মুখোমুখিও হতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।
আরও পড়ুন : রোজার দিনে হোটেলে খাওয়ার অভিযোগে আটক ৮০
Advertisement
নিরাপত্তাবাহিনীকে মোদির এই বিশেষ ক্ষমতা দেয়ার পর পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে জঙ্গি আস্তানায় বিমান হামলা পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরের দিলাপোরা গ্রামে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে পাকিস্তানি এক কমান্ডারসহ জয়েশ-ই-মোহাম্মদের তিন সদস্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়।
দিলাপোরা গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে; এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে অভিযানে যায় সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামের রয়িস আহমদ দার নামের এক যুবককে একটি বাড়িতে তল্লাশির জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
Advertisement
পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
তবে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, জঙ্গিদের নির্বিচারে ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন আহমদ দার। তাকে তল্লাশি অভিযানে পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী।
এসআইএস/পিআর