চার মাস আগে ছেলের বাবা হয়েছেন মামুনুল ইসলাম। ছেলে মোহাইমেনুল ইসলাম আজলানকে একটা উপহার দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। সে উপহারটা এতটাই সুন্দর হবে তা হয়তো ভাবেননি আবাহনীর এ মিডফিল্ডার। বুধবার ভারতের চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে দলের নাটকীয় জয় এসেছে মামুনুলের ডান পায়ের দর্শণীয় এক ভলিতে। বাঁ পায়ের মাস্টার মামুনুলের ডান পায়ের দর্শনীয় ভলি-আবাহনী পেলো স্মরণীয় এক জয়।
Advertisement
ম্যাচের পর মামুনুল ইসলাম এই গোল এবং জয় তার চার মাসের ছেলেকে উৎসর্গ করে বললেন, ‘আমার ছেলে হয়েছে চার মাস আগে। চার মাস ধরে ক্ষোভ জমে ছিল। কখন খেলবো, কখন ছেলেকে সারপ্রাইজ দেবে। আমি এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিলাম। আল্লাহ সে সুযোগ আমাকে করে দিয়েছেন। কাজে লাগাতে পেরে আমি খুশি। ছেলেকে আমি এই গোল ও জয় উৎসর্গ করলাম।’
মামুনুলের গোলটি দর্শণীয়। কোচ মারিও লেমস মামুনুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে মামুনুলের কথা, ‘এমন গোল আগেও অনেক করেছি। অনেকে বলছেন আমি ডান পায়ে এমন গোল করলাম। আসলে সেটা অনেকের মনে নেই। না থাকারই কথা। ডান পা–বাম পা নয়, এমন গোল অনেক করলেও কারো মনে নেই। আমি চেষ্টা করেছি। যখন খেলতে নামি নিজের সেরাটা খেলার চেষ্টা করি। আসলে আমার প্রমান করার কিছু নেই। ৫ মিনিট ১০ মিনিট যাই খেলি সেরাটা দিতে চেষ্টা করি।’
দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তপু ও ফাহাদের ইনজুরি প্রসঙ্গ টেনে মামুনুল বলেন, ‘তাদের অনুপস্থিতি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তারা ১০/১২ মাস পর মাঠে নামবে। তাদের সাপোর্ট দেয়া আমাদের দরকার ছিল। একটা দল হিসেবে খেলে সেটা দেয়ান চেষ্টা করেছি। যে কারণে দীর্ঘদিন পর গোল পেলাম।’
Advertisement
মামুনুল আবাহনীর জয়সূচক গোল করেছেন। হয়েছেন ম্যাচসেরা ফুটবলার। অথচ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে সবাই বাতিলের খাতায় রেখেছিলেন। ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গোলের পর পোস্টের রাস্তা আর দেখেননি লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মধ্যমাঠ মাতানো এ ফুটবলার। দীর্ঘ ৫ বছর পর পর তার পায়ের আন্তর্জাতিক গোলটি আবাহনীকে এনে দিলো দুর্দান্ত এক জয়। আবাহনীকে জেতানো গোলটিকে তাই তিনি উৎসর্গ করলেন চার মাসের ছেলে আজলানকে।
আরআই/আইএইচএস