রাজধানী ঢাকার উত্তরখানের একটি বাসায় মেয়ে জাহানারা বেগম, নাতি কাজী মুহিব হাসান ও নাতনি তাপসিয়া সুলতানা মীমের মৃত্যুর খবর ও শোক সইতে পারলেন না বৃদ্ধা তাজমহল বেগম। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনিও।
Advertisement
জাহানারা বেগমের মা তাজমহল বেগম বুধবার সকালে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এর আগে রোববার রাতে উত্তরখানের একটি বাসা থেকে জাহানারা ও তার দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জাহানারার স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন। তিনিও ২০১৬ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের বাড়ি ভৈরব শহরের জগনাথপুর গ্রামে।
মৃত জাহানারা বেগমের দেবর সুলতান আহমেদ কোরেশী বলেন, মেয়ে, নাতি-নাতনির মৃত্যুর খবর শুনে রোববার অসুস্থ হয়ে পড়েন তাজমহল বেগম। এক সঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর শোক মা সইতে পারলেন না এই বৃদ্ধা। তার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে হাসপাতালে মারা যান বৃদ্ধা তাজমহল বেগম।
Advertisement
উত্তরখানের একটি বাসা থেকে জাহানারা ও তার দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের দিন ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে লেখা ছিল ভাগ্য আর আত্মীয়-স্বজনের অবহেলার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছেলের গলা কাটা ছিল, মা ও মেয়ে মারা গেছে শ্বাসরোধে। তাদের তিনজনের মরদেহ ভৈরবে নিজ এলাকায় আনার পর সোমবার রাতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনার দুইদিন পর মঙ্গলবার রাতে জাহানারার ভাই মনিরুল হক বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি বলে পুলিশ জানায়।
উত্তরখান থানা পুলিশের ওসি মো. হেলাল উদ্দিন মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পরই হত্যার ঘটনাটি উদঘাটন হবে।
Advertisement
আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/এমএস