গাজীপুরের কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস মিয়ার ভুল তথ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৩ শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণে জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ওই শিক্ষকদের চাকরিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষকবৃন্দ অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে অধ্যক্ষসহ যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের কাছে চাকরির অনিশ্চয়তার বিষয়টি জানান।
Advertisement
এদিকে কলেজে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষক, যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও অধ্যক্ষের বক্তব্য শোনেন। পরে তিনি সবাইকে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ২০১৭ সালে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। এখানে ৪৪ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের পর থেকে সরকারিবিধি মোতাবেক ওই সংখ্যক শিক্ষককে সরকারিকরণের জন্য শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক শিক্ষকদের বিভিন্ন তথ্য চেয়ে একটি ফরম প্রেরণ করা হয়। পরে এ ব্যাপারে শ্রমিক কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস মিয়া কলেজের ৫ শিক্ষকদের দিয়ে একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেন। সেই যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যসহ কলেজের অধ্যক্ষ নির্ধারিত ওই ফরমে ২৩ শিক্ষকের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে শিক্ষা অধিদফতরে প্রেরণ করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে সরকারি শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ সত্য নয়। তবে বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের তথ্য ফরম পুনরায় যাচাই-বাচাই করা হবে। এতে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি পাওয়া যায় সেগুলো সংশোধন করা হবে।
Advertisement
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক বলেন, উভয়পক্ষের কথা শুনেছি। কয়েকজনের বক্তব্যে কিছুটা সত্যতাও মিলেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু সরকারি তাই ভুক্তভোগী শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। অভিযোগ পেলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আব্দুর রহমান আরমান/আরএআর/এমকেএইচ