আন্তর্জাতিক

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না আমেরিকা : মাইক পম্পেও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, তার দেশ ইরানের সাথে কোনো যুদ্ধ চায় না। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পম্পেও এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

রাশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা চায় ইরান যেন একটি স্বাভাবিক দেশের মতো আচরণ করে। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমেরিকার স্বার্থ আক্রান্ত হলে তারা সমুচিত জবাব দেবে।

ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ হবে না।

গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

Advertisement

আরও পড়ুন : আক্রান্ত সৌদি জাহাজ : মাথাব্যথা ট্রাম্পের, ইরানে হামলার পায়তারা

তিনি বলেন, নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে কোন যুদ্ধ চায় না। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়াকে আহবান জানিয়েছেন, তারা যাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে।

জবাবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ সেটি নাকচ করে দিয়েছেন। লাভরভ বলেন, যেভাবে নিকোলাস মাদুরোকে হুমকি দেয়া হচ্ছে সেটি অগণতান্ত্রিক।

ইরান কী বলেছে?

Advertisement

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সাথে যে পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছেন সেটির বদলে ভিন্ন কোন চুক্তির বিষয়ে আমেরিকার সাথে কোন আপোষ করবে না ইরান।

আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় মুসলিমবিরোধী সহিংসতা : কারফিউ বাড়ল, গ্রেফতার ৬০

খামেনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, তারাও যুদ্ধ চায় না।

সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে রুহানি বলেন, ইরানকে কেউ ভয় দেখানোর সাধ্য কারো নেই। তিনি বলেন, ইরান এ সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে।

গত দু’দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকায়; সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট চারটি জাহাজে রহস্যজনক অন্তর্ঘাতী আক্রমণের ঘটনা ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন তদন্তকারীরা ধারণা করছেন যে এর পেছনে রয়েছে ইরান বা ইরানের সমর্থিত কোন গোষ্ঠী। অবশ্য এ ধারণার পক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয়নি। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/এমকেএইচ