স্বাধীন ভারতের প্রথম চরমপন্থী একজন হিন্দু ছিলেন। তার নাম নাথুরাম গডসে। রোববার একটি নির্বাচনী প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেছিলেন দেশটির খ্যাতিমান অভিনেতা থেকে রাজনৈতিক বনে যাওয়া কমল হাসান। তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল মক্কাল নিধি মাইয়াম (এমএনএম) ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে।
Advertisement
কমল হাসানের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তামিলনাড়ুর মন্ত্রী কে টি আর বালাজি বলেন, কমল হাসানের জিভ ছিড়ে নেওয়া উচিত। তার মতে, ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হিন্দু। কিন্তু সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। হিন্দু, মুসলমান বা খ্রিস্টান কোনও ধর্মই সন্ত্রাসের ধর্ম নয়। স্বভাবতই এই প্রতিক্রিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। শুধু বিতর্কিত মন্তব্য করাই নয় তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী মনে করেন কমল হাসানের দলকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আপনি কেন বিষ ছড়াচ্ছেন? আপনার প্রত্যেকটা কথাই বিষাক্ত। আপনার দল রাজ্যে সন্ত্রাস করছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তামিলনাড়ুর এই মন্ত্রী ছাড়া বিজেপির তরফ থেকেও কমল হাসানের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি টি সুন্দররাজান বলেছেন, আমরা কমল হাসানের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। হিন্দুদের নিয়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি যা বলেছেন তা সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি এমন এলাকায় গিয়ে এ ধরনের কথা বলছেন যেখানে সংখ্যালঘু মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই এ ধরনের মন্তব্য থেকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উচিত তার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।
Advertisement
কমল হাসানের অনেক আগেই ভারতীয় রাজনীতিতে এই হিন্দু সন্ত্রাস কথাটি চালু হয়েছে। ২০১৩ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে কংগ্রেসের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে গেরুয়া সন্ত্রাস শব্দটির সূচনা করেন। তারপর থেকে আরও অনেকেই এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন।
টিটিএন/জেআইএম