খেলাধুলা

হেসেখেলে পাকিস্তানের ৩৫৮ তাড়া করল ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান যেনো মেতেছে রানোৎসবে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ড করে ৩৭৩ রান, জবাবে পাকিস্তান গিয়ে থামে ৩৬১ রানে।

Advertisement

গতকাল (মঙ্গলবার) আগে ব্যাট করলো পাকিস্তান। ইমাম উল হকের ক্যারিয়ার সেরা ১৫১ রানের ইনিংসে ৩৫৮ রানের পাহাড়ে চড়েছিল তারা। কিন্তু এত বড় সংগ্রহকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল স্বাগতিকরা। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে তারা যখন জয়ের বন্দরে পৌঁছায়, তখনও বাকি ছিলো ৩১টি বল!

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ৩৫০+ রানের লক্ষ্য তাড়া করলো তারা, যার সবকয়টিই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরে। সবচেয়ে বেশিবার ৩৫০+ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের তালিকায় ভারতের পাশেই নাম লেখালো ইংলিশরা। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সাড়ে তিনশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের দশম নজির এটি।

পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সহজেই ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে রান তুলছিল দেখেই অনুমান করা গিয়েছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কী অপেক্ষা করছে পাকিস্তানি বোলারদের জন্য। যা তারা টের পায় ইংলিশ ইনিংসের শুরু থেকেই।

Advertisement

দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয় শুরু করেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৭.৩ ওভারেই আসে ১৫৯ রান। জেসন রয় যখন ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন, তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯৫ বলে ২০০ রান।

সমীকরণ সহজ করে দিয়ে জেসন ফিরে গেলেও অপরপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৭৪ বলে। ইনিংসের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন ২৩৪ রানের মাথায়। তখন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য বাকি ১২৫ রান, হাতে বল রয়েছে ১২৮টি। আউট হওয়ার আগে ১৫ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৯৩ বলে ১২৮ রান করেন বেয়ারস্টো।

ম্যাচজয়ের বাকি কাজটা সারেন জো রুট ৩৭ বলে ৪৩, বেন স্টোকস ৩৮ বলে ৩৭, মইন আলি ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৬ এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ১২ বলে অপরাজিত ১৭ রান করে।

এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে ২-০ তে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে আর এ সিরিজ জেতা সম্ভব নয়। পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ সিরিজ ড্র করতে পারবে তারা।

Advertisement

এর আগে ব্রিস্টলে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ক্রিস ওকস তুলে নেন ফাখর জামান (২) আর বাবর আজমকে (১৫)।

সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে হারিস সোহেলের সঙ্গে ৬৮ আর চতুর্থ উইকেটে সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৬৭ রানের দুটি জুটি গড়েন ইমাম। হারিস ৪১ রানে রানআউট হন, সরফরাজ ফেরেন ২৭ করে।

এরপর আসিফ আলিকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক জুটি ইমামের। ৪৩ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে আসিফ সাজঘরের পথ ধরলে ভাঙে এই জুটি।

তবে ইমাম ফিরেছেন দলকে তিনশো পার করে দিয়েই। ক্যারিয়ার সেরা এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৩১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১৫১ রান করে টম কুরানের বলে বোল্ড হন তিনি।

এরপর ইমাদ ওয়াসিমের ১২ বলে ২২, ফাহিম আশরাফের ১১ বলে ১৩ আর হাসান আলির ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে সাড়ে তিনশো পার করে পাকিস্তান।

ইংল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ক্রিস ওকস, ৬৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।

এসএএস/জেআইএম