বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড বাহিনী নিয়োগ করেছেন।
Advertisement
এসব ডগ স্কোয়াড নাকে শুঁকে মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম। মাদক প্রতিরোধ এবং মাদক উদ্ধারে বিজিবির প্রশিক্ষিত এ ডগ স্কোয়াড বাহিনীর পারদর্শিতা রয়েছে ব্যাপক।
মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারত থেকে ফেরত আসা সন্দেহজনক পাসপোর্ট যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করানো হয় প্রশিক্ষিত এ ডগ স্কোয়াড বাহিনী দিয়ে। স্থানীয় জনসাধারণসহ পাসপোর্ট যাত্রীরা বিজিবির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকার ফ্যাশান গার্মেন্টের মালিক আবুল হোসেন বলেন, বিজিবির এই ডগ স্কোয়াড বাহিনী দিয়ে লাগেজ চেক করা নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। বিজিবি হাত দিয়ে যত সময় ধরে একটি লাগেজ তল্লাশি করবে তার চেয়ে কম সময়ে এ ডগ স্কোয়াড বাহিনী ওসব ব্যাগ তল্লাশি করতে সক্ষম। কিন্তুু সব ব্যাগেই আবার হাতেও চেক করছে বিজিবি। ওই ব্যাগ আবার দুই কিলোমিটার দূরে আমড়াখালি চেকপোস্টে বিজিবি চেক করছে। মাঝেমধ্যে নতুন হাট এলাকায়ও বিজিবি একই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে থাকে। এর ফলে আমরা পদে পদে হয়রানির শিকার হই। পথে পথে একই বাহিনীর চেকিং থেকে রেহাই পেতে চান সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা।
Advertisement
যশোর ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, বিজিবির পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যাগ এই ডগ স্কোয়াড বাহিনীর কাছে দিলে তাতে কোনো মাদক বিস্ফোরক দ্রব্য আছে কিনা তা সঙ্গে সঙ্গে নাকে শুঁকে বের করতে সক্ষম। আর যদি ওসব লাগেজে এ জাতীয় কোনো দ্রব্য না থাকে তাহলে ওই ব্যাগ ডগ স্কোয়াড বাহিনী তল্লাশি করবে না। আমরা মাদক নির্মূলের জন্য সীমান্তে বিজিবির টহলের সঙ্গে এই ডগ স্কোয়াড বাহিনী দিয়ে মাদক উদ্ধার করার কাজ করে যাচ্ছি।
জামাল হোসেন/এএম/এমএস