রাজনীতি

খালেদাকে কেরানীগঞ্জে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ

বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা শেষে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

Advertisement

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেজিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কারাবন্দী হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেখানে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম চলবে। ঢাকা শহরের ভেতরে বর্তমানে কোনো কেন্দ্রীয় কারাগার নেই, তাই কেন্দ্রীয় কারাগারটি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। বিচারের সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তার বিবেচনায় কেরানীগঞ্জে ইতোমধ্যে একটি ভার্চুয়াল কোর্ট তৈরি করা হয়েছে।’

আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কেনারীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নারীদের কোনো জেল নেই। দেশনেত্রী বেগম জিয়া একজন অসুস্থ বয়জ্যেষ্ঠ নারী। নারীদের চিকিৎসার জন্য কোনো বিশেষ হাসাপাতালও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেই। তারপরও তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা সরকারের একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

কারাগারে তড়িঘড়ি করে বিশেষ আদালত স্থাপন করে বিচারের ব্যবস্থা করা আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং সরকারের এ কর্মকাণ্ড দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাকর। আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ মে পুরাতন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত বসানো নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

এফএইচ/এমএসএইচ/এমএস

Advertisement