ক্যাম্পাস

ডিজিটাল গ্রন্থাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত শেকৃবির শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ (হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রোজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ডিজিটালাইজড করা হয়। কিন্তু অত্যাধুনিক এ গ্রন্থাগার থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও প্রশিক্ষণের অভাবে এসব প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী বইয়ের ঘাটতি, স্বল্প আর্থিক বরাদ্দ, বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার অভাব, ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য একই ওয়াশরুম, তাও আবার স্যাঁতস্যাঁতে ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ, অতিরিক্ত মশার উপদ্রব ইত্যাদি কারণে ক্রমেই গ্রন্থাগার বিমুখ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-গ্রন্থাগারের ব্যাপারেও জানেন না অনেক শিক্ষার্থী।

পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ বই এখানে পাওয়া যায় না। তবে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে প্রায় ৭০০ ই-বই ও ৪৪ হাজারের বেশি বইয়ের হার্ডকপি আছে। এসব বইয়ের অনেকগুলোই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইনস্টিটিউট থাকার সময়ে সংগ্রহ করা। পুরাতন ওইসব বইয়ের বেশিরভাগই ব্যবহার অনুপযোগী। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে রিডিং রুমজুড়ে অন্ধকার নেমে আসে। ফলে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান (ছদ্মনাম) বলেন, আমাদের গ্রন্থগারে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে, তা আমাদের এখনো অজানা। জানানোর জন্যও বিশেষ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে একটু তদারকি করলে আশা করি ভালো ফল পাওয়া যাবে। ব্যবহৃত প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্বলিত একটি কর্মশালা আয়োজন করা যেতে পারে।

Advertisement

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে ব্যবহৃত এসব প্রযুক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে জানানোর চেষ্টা করেছি। ৬ তলা ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হলে পুরো ভবনে এসির ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের ভালো সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করি।

রাকিব খান/এমএসএইচ/এমকেএইচ