জাতীয়

ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা সমবায় কর্মকর্তা

ঘুষের টাকাসহ রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় অফিসার নৃপেন্দ্রনাথ দাসকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে দুদকের বিশেষ টিম ঘুষের ৮ হাজার টাকাসহ নৃপেন্দ্র নাথ দাসকে নিজ দফতর থেকে গ্রেফতার করে। দুদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দুদক সূত্র জানায়, স্থানীয় মৎস্যচাষী সমিতির মো. আবদুল বাতেন সমবায়ের সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে এবং নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে উপজেলা সমবায় অফিসে তাদের সমিতির রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন। উপজেলা সমবায় অফিসার নৃপেন্দ্রনাথ দাস রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না পেলে তারা ফাইলে সই করবেন না বলে জানিয়ে দেন। নিরূপায় হয়ে মো. আব্দুল বাতেন ৭ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সমবায় অফিসার ঘুষের আরও ৮ হাজার টাকা দাবি করলে, তিনি বিষয়টি দুদকে অবহিত করেন।

দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে ঘুষ গ্রহণকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্টকে গ্রেফতারের জন্য ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি প্রদান করে। আজ ঘুষের ৮ হাজার টাকা নেয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক দুদক টিমের সদস্যরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের চারিদিকে সকাল থেকে ওঁৎ পেতে থাকে। আজ নৃপেন্দ্রনাথ দাস যখন নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুষের ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করছিলেন, ঠিক সেই সময় দুদক টিমের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে গোদাগরী থানায় মামলা করবেন।

Advertisement

এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় মৎস্যচাষ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগকেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, এনএটিপি (ন্যাশনাল এগ্রি কালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট)-এর আওতায় মাঠ দিবস পালন না করে উক্ত টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। উপজেলা মৎস্যদফতর এ সংক্রান্ত ভাউচার দুদকের কাছে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। এবিষয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

অন্যদিকে প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচারক-এর যোগ্যতা অর্জনের সনদপত্র পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। দুদক টিম পরীক্ষা পদ্ধতির মানোন্নয়নে বেশকিছু পরামর্শ প্রদান করে, তন্মধ্যে রয়েছে-উত্তর পত্রে কোডিং করা, পরীক্ষা শুরু হতে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সময় ব্যবধান কমিয়ে আনা ইত্যাদি। এ সময় বয়লার পরিদর্শক কর্তৃপক্ষ লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে মর্মে দুদক টিমকে অবহিত করে।

এমইউ/জেএইচ/পিআর

Advertisement