নতুন ভ্যাট আইন আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এ আইন কার্যকরের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মধ্যে যে দূরত্ব ছিল -তা ঘুচিয়ে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কার্যালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় দুপুর দেড়টার দিকে। বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব আলোচনার মাধ্যমে দূর হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো পণ্যে ট্যাক্স বাড়ছে না, বরং কমতে পারে। এর বাইরে অর্থ মন্ত্রণালয় ট্যাক্সের এলাকা বাড়াবে। এ ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সবধরনের সহযোগিতা করবে এফবিসিসিআই।
কোন পণ্যে কত ভ্যাট হার বসছে -এফবিসিসিআই এতদিন সেটা দেখার দাবি জানিয়ে আসছিল। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন, ‘যেভাবে গণমাধ্যমে আসছে, বিষয়টা সে রকম না। ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা বসেছি, কথা বলছি, বুঝতে পারলাম কোথাও একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেছে। আমরা লেখালেখি করছি, উনারাও লেখালেখি করছে। যাই হোক, আমরা যেটা করেছি সেটা হলো- আমরা যেখানে যেভাবে শুরু করেছিলাম, আমরা সেভাবেই করব। উনারা আশ্বস্ত করেছেন, উনাদের কোনো আপত্তি নাই।’
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উনাদের একটি কথা ছিল, আমরা চূড়ান্ত করার পর উনাদের একটা সুযোগ দেব দেখার জন্য। কিন্তু ভ্যাট আইনটি এমন একটি আইন, যেটি বাজেটে পাস না করা পর্যন্ত আমরা যা করলাম এটা নিয়ে আলোচনা করা যায় না। টেকনিক্যাল কারণে আমরা সেটা করতে পারি নাই।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘মন্ত্রী আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই। আমাদের কথা হচ্ছে কোনো অবস্থাতেই যিনি ট্যাক্স দিচ্ছেন উনি ব্যথা পাবেন না, কিন্তু ট্যাক্স দেবেন। আমরা সিস্টেমটাই ওভাবে ডেভেলপ করছি। আমাদের আস্থার জায়গাটা, উনি (অর্থমন্ত্রী) বলেছেন, কোনো জায়গায় ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে না। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমবে। সুতরাং এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু নেট (এলাকা) উনি বাড়াবেন। এটার জন্য যা যা করণীয় তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্ধারিত কোনো সেক্টরে বা কোনো পণ্যে কোনো অসুবিধা হয় -সেটি ডেফিনেটলি (নিশ্চয়) উনারা বিবেচনায় নেবেন। ওটার ওপর আমরা যথেষ্ট আস্থা রেখেছি।’
এর আগে প্রধান উদ্বেগের জায়গা ছিল কোন পণ্যে কত রেট হবে -এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ওটা বাজেটের আগে যদি বলে দেন তাহলে অসুবিধা হবে। আপনাদের ওটা বিবেচনায় নিতে হবে।’
Advertisement
এফসিসিআই তো দীর্ঘদিন ধরে বাজেট প্রণয়ের সঙ্গে জড়িত, তাহলে আপনারা এমন দাবি কেন জানিয়েছিলেন যে, আপনাদের সব দেখিয়েই করতে হবে? উপস্থিত এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে এফসিসিআইয়ের এক প্রতিনিধি প্রশ্নকারী সংবাদকর্মীর পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দিলে তিনি বলেন, ‘আপনাকে তো এর উত্তর মন্ত্রী মহোদয় বলেই দিয়েছে। আপনি এভাবে বলতে পারেন না।’
তখন ওই সংবাদকর্মী বলেন, আমরা তো প্রশ্ন করতেই পারি। পরে অর্থমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় তা সুরাহা হয়।
পিডি/আরএস/এমএস