ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১৭ মে) যথাযথভাবে পালন করার জন্য সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। এছাড়া ওইদিন কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আকতারুজ্জামান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, সুজীত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অপু উকিল, প্রকৌশলী আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হানিফ বলেন, আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে সারাদেশে ৮টি সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করবেন। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে ডিজিটালাইজড করার জন্য ডাটাবেজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রত্যেক উপজেলার দলের দফতর সম্পাদকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বৈঠক করবেন। প্রত্যেক উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দলের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
Advertisement
ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ছাত্রলীগের কাউন্সিল হয়েছিল এবং নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠনে লাখ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে। যোগ্য নেতার সংখ্যাও অনেক, কিন্তু সবাইকে নেতৃত্ব দেওয়া বা সবাইকে নেতা বানানো সম্ভব নয়। এ কারণে কিছু অসন্তোষ, কিছু ক্ষোভ হতেই পারে। মধুর ক্যান্টিনে যে ঘটনা ঘটেছে এটা অতি ছোট ঘটনা। এ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কিছু নেই। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে।
বগুড়া-৬ আসনে উপ-নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া দল। এই দলের কোনো আদর্শিক চেতনা নেই। এই দলে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। এই দলে কে যে কখন কোন নির্দেশনা দেয় তা খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে নিয়ে এ দেশের মানুষের কোনো আশা ভরসা নেই এবং মানুষ বিশ্বাস করে না। আমরাও এই দলকে নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। একেক এক সময় এক এক জায়গা থেকে নেতৃত্ব আসে। কখনো জেলখানা থেকে, আবার কখনো লন্ডন থেকে আবার কখনো অন্য নেতাদের নির্দেশে চলে। যে কারণে কারো নির্দেশনায় এখন পালিত হয় না। তারা কেউ কাউকে মানে না।
এফএইচএস/আরএস/এমকেএইচ
Advertisement