ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাঁড়ছেন অনেকে। এ তালিকায় বাদ যাচ্ছেন না নারী নেত্রীরাও। শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
Advertisement
এক নেত্রী লিখেছেন, সাজুগুজু করে প্রোগ্রামে যেতে পারেননি বলে শোভন তাকে পদ দেননি। আরেকজন লিখেছেন, ‘নারীদের বিবাহিত হওয়া ও আন্ডারগ্রাউন্ড প্রটোকল দেয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে বড় পোস্ট পাওয়ার মূলমন্ত্র।’
এদিকে পদবঞ্চিতরা সোমবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় শোভন-রাব্বানীর অনুসারীরা। এতে বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী আহত হন।
কমিটি ঘোষণার কিছুক্ষণ পর জেরিন দিয়া নামে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এক সদস্য ফেসবুকে লেখেন, ‘রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানী ভাই আপনাদের মধুভর্তি মেয়ে লাগে। বড় বড় প্রোগ্রামে মেয়েদের মুখ না দেখলে তো আপনাদের মন ভরতো না। শোভন ভাই আপনি একদিন আমাকে সবার সামনে বলছিলেন কী রে চেহারা সুন্দর আছে; তো সেজেগুজে আসতে পারো না!আমি সেজেগুজে আসতে পারি নাই দেখে আমাকে কমিটিতে রাখলেন না??আপনারা যেসব মেয়েকে কমিটিতে রেখেছেন তারা কয়দিন থেকে রাজনীতি করে! আপা কি জানেন?? আর নিজে বিবাহিত বলে কমিটিতে দুনিয়ার বিবাহিত মেয়েদের রেখেছেন!!!আর গোলাম রাব্বানী ভাই আমাকে সবার সামনে বলছিলেন দুইদিনের মেয়ে কেমনে পোস্ট পাইছো বুঝি নাই! কয়জনের বেডে গেছো এনএসআই রিপোর্ট করলেই জানা যাবে। মনে আছে গোলাম রাব্বানী ভাই?????? আমি তখন আপনার যোগ্য কথার জবাব দিয়েছিলাম। আজ তার শোধ নিলেন?????অনেক তথ্য অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য।এই বিবাহিত বিতর্কিত কমিটি মানি না; মানবো না...আমার শ্রমের মূল্য দিতে হবে আপনাদের।’
Advertisement
শামসুন্নাহার হলের সাধারণ সম্পাদক জেয়াসমিন শান্তা লেখেন, ‘নারীদের বিবাহিত হওয়া ও আন্ডারগ্রাউন্ড প্রটোকল দেয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে বড় পোস্ট পাওয়ার মূলমন্ত্র।অভিনন্দন গোলাম রাব্বানী ভাই ও শোভন ভাই, হিসাব আছে, অনেক হিসাব, চলেন মিলাই।’
এমএইচ/বিএ