নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেন্টন ট্যারান্টের নৃশংস বন্দুক হামলায় ৫১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দেশটির রাজকীয় কমিশন। সোমবার থেকে এ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদ জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণভিত্তিক শুনানির মধ্য দিয়ে তদন্ত শুরু হয়। রাজকীয় কমিশন পুরো ঘটনার তদন্ত করার পর চলতি বছরের শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
অনলাইনে সন্ত্রাসী ঘটনার প্রচার বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ আলোচনার কথাও বলেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। তার মধ্যেই মসজিদে হামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হচ্ছে।
গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যা করার দৃশ্য ফেসবুক লাইভে সরাসরি স্ট্রিমিং করেন ব্রেন্টন ট্যারান্ট।
Advertisement
ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে গত ১৫ মার্চের হত্যাযজ্ঞের ঘটনাটি ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছিল ওই সন্ত্রাসী বন্দুকধারী। শান্তিকালীন সময়ে এটিই নিউ জিল্যান্ডে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।
ভয়াবহ সেই হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তারা মসজিদে যাওয়ার পথে পথচারীর খবরে হোটেল কক্ষে ফিরে আসায়ি প্রাণে বেঁচে যান।
শ্বেতাঙ্গ ওই সন্ত্রাসীর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচরণসহ তার সব কর্মকাণ্ড তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে নিউজিল্যান্ডের রাজকীয় কমিশন। আগামী ১০ ডিসেম্বর কমিশন তার তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে।
এসএ/পিআর
Advertisement