খেলাধুলা

আবাহনীতে এসে স্মৃতিকাতর ভারতের সাবির পাশা

আবাহনীর মাঠে চেন্নাইন এফসির প্রথম অনুশীলন। ভারতের এ দলটির সহকারী ম্যানেজার সাবির পাশা সোমবার দুপুরে আবাহনী ক্লাবে গিয়েই সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলেন দোতলায়। ঢুকলেন হাতের বামে প্রথম রুমটিতে। সঙ্গে থাকা মানুষগুলোকে দেখালেন-এটা আমার রুম। সাবির পাশার রুম মানে?

Advertisement

খুলেই বলা যাক। ভারতের সাবেক এ ফুটবলার যে আবাহনীতে খেলেছেন ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে। সাবির পাশা মাত্র এক মৌসুম খেললেও বাংলাদেশের ফুটবলামোদীদের কাছে প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছিলেন দ্রুত। আক্রমণভাগের এ ফুটবলার আবাহনীতে খেলেছেন ১১ নম্বর জার্সি পড়ে। গোল করেছেন ১১ টি।

আবাহনীতে খেলে যাওয়ার পর ২০১০ সালে আরো একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন সৈয়দ সাবির পাশা। তখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সহকারী ম্যানেজার হয়ে এসেছিলেন দেশটির জাতীয় দলে হয়ে ৬৮ টি ম্যাচ খেলা এ ফরোয়ার্ড।

পুরোনো ক্লাবে এসে স্মৃতিকাতর হওয়াটা লুকোননি সাবির। অনুশীলন শেষে মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এখানে এসে আমার মনে হয়েছে যেন নিজের বাড়িতেই ফিরেছি। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।’ তার রুমমেট ছিলেন মিডফিল্ডার ইকবাল হোসেন। দুপুরে তিনিও আবাহনী ক্লাবে গিয়ে দেখা করে আসেন সাবিরের সঙ্গে।

Advertisement

যে আবাহনীকে নিয়ে ক্যারিয়ারে অনেক স্মরণীয় স্মৃতি সাবিরের, সেই আবাহনীই এখন মাঠে তার প্রতিপক্ষ। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপে তার দল খেলবে বাংলাদেশের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিরুদ্ধে। এটি এ টুর্নামেন্টে তাদের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গত ৩০ এপ্রিল আহমেদাবাদে প্রথম সাক্ষাতে আবাহনী হেরেছিল আত্মঘাতী গোলে।

পুরোনো দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো দাঁড়াচ্ছেন ডাগআউটে। এটা নিশ্চয় অন্যরকম অনুভূতি সাবির পাশার জন্য? আবাহনী মাঠে অনুশীলন শেষে বললেন, ‘আমরা এখানে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। আবাহনী অনেক ভালো দল। তাদের আমরা সমীহ করি। তারা মিনারভা পাঞ্জাবের সঙ্গে ভালো ফুটবল খেলেছে। আহমেদাবাদে আবাহনীর বিরুদ্ধে আমাদের জয়টা সহজ ছিল না। আবাহনীও ভালো খেলেছে। তাদের ভালো মানের কয়েকজন বিদেশি আছেন। তারা যে কোনো ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। ঘরের মাঠে আমরা জিতেছি। ঢাকায় আরো ভালো খেলতে চাই।’

আরআই/এমএমআর/পিআর

Advertisement