পারস্য উপসাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলের কাছে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা যুক্তরাজ্য ও ইরানের। সোমবারের এ হামলার পর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে তাদের এ শঙ্কার কথা জানায়।
Advertisement
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সৌদির তেলবাহী জাহাজে হামলার মতো এরকম দুর্ঘটনা পারস্য উপসাগরে সংঘাতময় পরিস্থতির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে অবস্থানরত হান্ট বলেন, ‘এমন হামলার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে যে সংঘাতময় পরিস্থিতির তৈরি হবে তার আশঙ্কা করে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
আরও পড়ুন>> আমিরাতে সৌদির তেলবাহী জাহাজে হামলা
Advertisement
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদির তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনাকে ‘ভীতিকর’ বলে অভিহিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশী ‘খেলোয়ারদের’ দ্বারা সমুদ্রে অস্থিতিশীল পরস্থিতি তৈরি করার এমন ঘটনার তদন্ত করতে হবে।
সৌদি আরবের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ জানিয়েছেন, পারস্য উপসাগরের আমিরাতের উপকূলের কাছে তাদের দুইটি তেলের ট্যাঙ্কার ‘অন্তর্ঘাতমূলক হামলার শিকার’ হয়েছে। ফুজাইরা বন্দরের পাশের এ হামলায় সৌদি নৌযান দুটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।
ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান, রণতরী এবং নতুন প্রযুক্তির প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে এমন যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে ঠিক সেই সময়ে এমন হামলার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এসএ/পিআর
Advertisement