আন্তর্জাতিক

অ্যাসাঞ্জের ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত করবে সুইডেন

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত করবে সুইডেন। দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশনের সহকারী পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছেন।

Advertisement

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাবলিক প্রসিকিউশনের সহকারী পরিচালক ইভা ম্যার পারসন সোমবার দেশটির সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমি আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে প্রাথমিক তদন্তের জন্য মামলাটির পুনরায় চালু করা হবে।’

তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সুইডেনের কাছে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যের প্রত্যর্পণের অনুমতি দেবে। তাছাড়া অ্যাসাঞ্জকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে নতুন করে কোনো তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’

তিনি মামলার পুনঃতদন্ত করার যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘এখন পর‌্যন্ত হওয়া তদন্ত বিশ্লেষণ করে যা জানতে পেরেছি তাতে করে আমি ধারণা করছি, ধর্ষণের অভিযোগে এখনো জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে অভিযুক্ত করার যথেষ্ট ভিত্তি আছে। আমার মূল্যায়ন, অ্যাসাঞ্জকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

Advertisement

আরও পড়ুন>> যেভাবে গ্রেফতার হলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

২০১৭ সালে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের এই মামলা মুলতবি রাখে সুইডেন। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকায় তদন্ত চালাতে অপারগতা জানান দেশটির কৌসুঁলিরা।

দীর্ঘ সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর গত ১১ এপ্রিল ইকুয়েডর দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। ২০১২ সালে সুইডেনের কৌঁসুলিরা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

২০১০ সালে সুইডেনে দুজন নারী তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের ধর্ষণ করেন, এমন অভিযোগ এনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ওই দুই নারী। জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে অবস্থান করায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর ৫০ সপ্তাহ কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত।

Advertisement

এসএ/এমএস