জাতীয়

সচিবালয়ে অগ্নি নির্বাপণ প্রশিক্ষণ

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ভূমিকম্প এবং আগুন নেভানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তত্ত্বাবধানে সচিবালয়ে ২০তলা বিশিষ্ট ৬ নম্বর ভবনে এই মহড়া হয়।

Advertisement

ছয় নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি অংশও, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।

আগুন এবং ভূমিকম্পের মতো দুর্ঘটনায় উঁচু ভবনে জান-মাল রক্ষাসহ নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা করতেই এই মহড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

মহড়ায় ফায়ার সার্ভিসের বহুতল ভবনে আগুন নেভানো এবং উদ্ধার উপযোগী গাড়ি ‘ব্রনটু’ এবং ‘টিটিএল’ অংশ নেয়। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের টু-হুইলার ওয়াটার মিক্স, ফোর-হুইলার ওয়াটার মিক্স, পানিবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, ইমার্জেন্সি টেন্ডার, রেসকিউ টিম, ফাস্ট এইড টিম অংশগ্রহণ করে।

Advertisement

কোন ফ্লোরে আগুন লাগলে ভবনে রক্ষিত ফায়ার এক্সটিংগুশার দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কীভাবে নেভানো যায় এবং ফায়ার সার্ভিস কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে ৬ নম্বর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তা হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে মহড়ায়।

মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া এবং উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার মহড়া করেছি। ছোটখাট যে আগুন হয় তাতে ফায়ার এক্সটিংগুসার দ্বারা কীভাবে নির্বাপণ করা যায়- অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এটার ব্যবহার জানে না। ফায়ার এক্সটিংগুশার তাদেরকে দিয়ে অপারেট করে অগ্নি নির্বাপণ করেছি।’

প্রত্যেক মাসে অগ্নি মহড়া করলে সচিবালয়ের ভবনগুলোতে আগুনের ঝুঁকি কমে যাবে জানিয়ে উপ-পরিচালক বলেন, ‘আগুন লাগলেও তারা (কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিজেরাই নির্বাপণ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ভবনেও মহড়া করবো।’

মহড়ার আগের দিন টিটিএক্স (টেবিল টপ এক্সারসাইজ) করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছিল, সেই টিম আমাদের সহযোগিতা করেছে।

Advertisement

ছয় নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আছে কি না- জানতে চাইলে দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ‘মহড়া করার তো কিছু উদ্দেশ্য আছে। আমরা এরআগে প্রত্যেক ভবনে সার্ভে করে যে দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এই মহড়ার পরে আবারও চিঠি দিয়ে দুর্বলতাগুলো জানিয়ে দেব। অবশ্যই দুর্বলতা আছে।’

ব্রনটু এবং টিটিএল গাড়ি সচিবালয়ের সবগুলো গেট দিয়ে ঢোকে না, ৬ ও ৭ নম্বর ভবনের মধ্যে হাঁটার সেতু প্রতিবন্ধক- এগুলোর বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান উপ-পরিচালক।

আগুন লাগলে কী করতে হবে- এ নিয়ে লিফলেটও বিতরণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও যেকোনো দুর্ঘটনায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর (০২-৯৫৫৫৫৫৫) ও জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর (৯৯৯) জানিয়ে দেয়া হয় মহড়ার সময়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এনএফ/জেআইএম