মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী জাহাজে ‘ধ্বংসাত্মক হামলা’ হয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছে। রোববার ভোরের দিকে ওই হামলার পর আমিরাতের কিছু গণমাধ্যমে খবর আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে হামলার খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় আমিরাত।
Advertisement
একদিন পর সোমবার সৌদি আরবের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে সৌদি আরবের দু’টি তেলবাহী জাহাজ শত্রুর হামলার শিকার হয়েছে।
দেশটির জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ’র বরাত দিয়ে সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি (এসপিএ) বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবের দু’টি তেলবাহী জাহাজে শত্রুরা হামলা করেছে। আরব উপসাগরের পথে যাওয়ার সময় ওই হামলা হয়।
আরও পড়ুন : আমিরাতে সিরিজ বিস্ফোরণ
Advertisement
রোববার এক বিবৃতিতে আরব আমিরাত ওই হামলার খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেও পরে জানায়, ফুজাইরাহ বন্দরের কাছে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে শত্রুর হামলা হয়েছে। বিশ্বে জ্বালানি তেল পরিবহনে অন্যতম বৃহৎ একটি অঞ্চল হলো হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত আমিরাতের এই বন্দর।
বিশ্বের তেল ও গ্যাসবাহী জাহাজ চলাচলের ব্যস্ততম এই প্রণালী উপসাগরীয় দেশগুলো এবং ইরানকে পৃথক করেছে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের বাকযুদ্ধ যখন চরমে চলছে, ঠিক সেই সময় হরমুজ প্রণালীর কাছে সৌদির তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটলো।
তবে হামলার ধরন এবং এর পেছনে কারা জড়িত থাকতে পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি আমিরাত। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, হামলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি এবং ফুজাইরা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন : মসজিদে হামলার পর শ্রীলঙ্কায় ফেসবুক বন্ধ
Advertisement
মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফুজাইরা বন্দরে অপরিশোধিত তেল নেয়ার সময় সৌদির দু’টি তেলবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে। জাহাজ দু’টি যুক্তরাষ্ট্রে সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের তেল সরবরাহ করার জন্য যাত্রা শুরু করেছিল।’
সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি বলছে, হামলায় কোনো ধরনের প্রাণহানি কিংবা সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়েনি। তবে জাহাজ দু’টির কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, আমিরাতের বন্দরে সৌদির তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনাকে উদ্বেগজনক এবং ভীতিকর বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। এ ঘটনায় তদন্ত শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ