জাতীয় দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১২ ম্যাচ খেলেই আইপিএল ছেড়ে দেশে ফেরত গিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে আইপিএল ছাড়ার আগে ব্যাট হাতে যা করে গেছেন, তা টপকাতে পারেননি টুর্নামেন্টের অন্য কোনো ব্যাটসম্যান।
Advertisement
আইপিএলের গত মৌসুমে নিষিদ্ধ থাকা ওয়ার্নার, এবারের আসরের শুরু থেকেই ফুঁসতে থাকেন রানের জন্য। যার ছাপ তিনি রাখেন খেলার মাঠেও। দেশে ফেরার আগে ১২ ম্যাচ খেলে করেন ৬৯২, যা যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরষ্কার ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ ও ১০ লাখ রুপি জিততে।
১২ ম্যাচের প্রতিটি ব্যাট করতে নেমে ২ বার অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। যে কারণে গড় দাঁড়ায় ৬৯.২০। যা কিনা টুর্নামেন্টের সেরা দশ রান সংগ্রহকারীর গড়ের চেয়েও বেশি। এ ১২ ইনিংসে মোট ৯ বার পঞ্চাশ পেরিয়ে, একবার সেটিকে রূপ দেন সেঞ্চুরিতে। টুর্নামেন্টে ৫৭টি চার ও ২১টি ছক্কা হাঁকানো ওয়ার্নার ৬৯২ রান করেন ১৪৩.৮৬ স্ট্রাইকরেটে।
টুর্নামেন্ট ছেড়ে না গেলে আরও অন্তত ৩টি ম্যাচ খেলতে পারতেন ওয়ার্নার, তখন তার রান কোথায় গিয়ে ঠেকত তা আগাম বলতে পারবে না কেউই। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা কিংস এলেভেন পাঞ্জাব লোকেশ রাহুল পিছিয়ে রয়েছেন প্রায় ১০০ রানে, তার সংগ্রহ ৫৯৩ রান।
Advertisement
পুরো আসর না খেলেই একক আধিপত্য বিস্তার করে অরেঞ্জ ক্যাপটি জিতেছেন ওয়ার্নার। তবে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকায় ফাইনালের দিন সে পুরষ্কার গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ওয়ার্নারের বদলে সে পুরষ্কার নিয়েছেন হায়দরাবাদের মেন্টর ভিভিএস লক্ষণ।
আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকা
১. ডেভিড ওয়ার্নার (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): ১২ ম্যাচে ৬৯.২০ গড়ে ৬৯২ রান, সর্বোচ্চ ১০০*২. লোকেশ রাহুল (কিংস এলেভেন পাঞ্জাব): ১৪ ম্যাচে ৫৩.৯০ গড়ে ৫৯৩ রান, সর্বোচ্চ ১০০*৩. কুইন্টন ডি কক (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস): ১৬ ম্যাচে ৩৫.২৬ গড়ে ৫২৯ রান, সর্বোচ্চ ৮১৪. শিখর ধাওয়ান (দিল্লি ক্যাপিট্যাল): ১৬ ম্যাচে ৩৪.৭৩ গড়ে ৫২১ রান, সর্বোচ্চ ৯৭*৫. আন্দ্রে রাসেল (কলকাতা নাইট রাইডার্স): ১৪ ম্যাচে ৫৬.৬৬ গড়ে ৫১০ রান, সর্বোচ্চ ৮০*
এসএএস/জেআইএম
Advertisement