বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একটি দলের কোচ ছিলেন তিনি। সেই দলটির মালিকপক্ষ ভেবেছিলো তার অধীনে বুঝি তারা, অনেকদুর যেতে পারবেন; কিন্তু তাদের সব আশায় গুড়ে বালি। অনেক দুর যাওয়া তো দুরে থাক, সেই দলটি কি না সর্বশেষ বিপিএলে মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছিলো এবং হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের একেবারে শেষ দল।
Advertisement
এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন, সর্বশেষ বিপিএলে কোন দলের কথা বলা হচ্ছে এখানে। সেই দলটির নাম খুলনা টাইটান্স। যারা ১২ মাচের মধ্যে ১০টিতেই হেরেছিল। ২ জয়ে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছিল টেবিলের একেবারে লাস্ট বয়।
সেই দলটির কোচ কে জানা আছে তো সবার? মাহেলা জয়াবর্ধনে। লঙ্কান এই কিংবদন্তির অধীনে দলকে ছেড়ে দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিরা নিশ্চিন্ত ছিল, কিছু একটা করে দেখাবে তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্য আর অর্জন হয়নি।
কিন্তু কি আশ্চর্য। সেই মাহেলা জয়াবর্ধনে কি না আইপিএলে হিরো। বিপিএলে জিরো হলেও আইপিএলে ঠিকই চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরে নিয়েছেন তিনি। তার অধীনেই চতুর্থবারেরমত আইপিএলে চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
Advertisement
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মাত্র ১৪৯ রান করেও চেন্নাই সুপার কিংসকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হারিয়ে দিয়েছে ১ রানে। ঠিক যেন ফাইনালের মত ফাইনাল। যার প্রতিটি পরতে পরতে ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। সেই ভরপুর উত্তেজনাময় ম্যাচে জয়ের মুকুট পরে নিলো জয়াবর্ধনের দল।
নিশ্চিত তার মস্তিষ্ক থেকে বের হওয়া বুদ্ধি, পরামর্শ এবং পরিকল্পনার ফলেই জমজমাট একটি টুর্নামেন্টের শিরোপার মুকুট পরতে পেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
বিপিএলে খুলনা টাইটান্সকে নিয়ে বলতে গেলে বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলেন জয়াবর্ধনে। ভাগ্যই সহায়তা করছিল না তাকে। যে কারণে খুলনার সমর্থকরা বলতেও বাধ্য হয়েছে, ‘জয়াবর্ধনে বাজে কোচ।’ কিন্তু সব কিছু মুখবুঝে সহ্য করে গেছেন। তার এমন পারফরম্যান্স সত্ত্বেও মুম্বাই কর্তৃপক্ষ আস্থা রেখেছে জয়াবর্ধনের ওপর। শেষ পর্যন্ত সে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ধোনি রানআউট হওয়ার পরই বুঝে গিয়েছিলাম আমরাই জিতছি। কিন্তু ওয়াটো (ওয়াটসন) হিটিং শুরু করলো। এ পর্যায়ে দারুণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত। শেষ মুহূর্তে ডেথ বোলারদের সে কাজে লাগিয়েছে। এতেই আসলে আমাদের জয় সুনিশ্চিত হয়েছে।’
আইএইচএস/