শেরপুরের নকলা উপজেলায় প্রথম শ্রেণির দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
পাশাপাশি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম (২৪) রুনিগাঁও এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারিক হাকিম তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার দুই শিশু ও কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নকলা উপজেলার ভুরদী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের চৌদ্দ বছর বয়সী কিশোর ৯ মে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দুই শিশুকে লিচু দেয়ার কথা বলে স্থানীয় ফারুক মিয়ার লিচু বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
Advertisement
এ সময় শিশুদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে বলতে নিষেধ করায় শিশুরা কাউকে জানায়নি। কিন্তু শিশুদের চলাফেরা ও শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করলে তারা পরিবারের সদস্যদের কাছে ধর্ষণের কথা বলে দেয়। শুক্রবার শিশুদের অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, মধ্য নকলা এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে ২৬ এপ্রিল রুনীগাঁও মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে তুলে নেয় ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলম। তাকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বাড়িতে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমসহ পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। নকলা থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অপহরণের ১৫ দিন পর ১০ মে শুক্রবার রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, দুই শিশুকে ধর্ষণ করায় এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীর বিষয়টি প্রেমঘটিত কিনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে মামলা চলতে কোনো বাধা নেই।
হাকিম বাবুল/এএম/এমএস
Advertisement