জাতীয়

যে পথে হাঁটতে মানা পথচারীদের!

রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর থেকে গুদারাঘাটের বিপরীতে ফুটপাত ধরে হাঁটার অবস্থা নেই পথচারীদের। এই ফুটপাত ধরে বাড্ডা লিংক রোডের দিকে আসা-যাওয়ার পথে পথচারীরা নিত্য বিড়ম্বনায় পড়েন।

Advertisement

ফলমূল, সবজি, পোশাক, মোবাইলের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অন্তত ৫০টি অস্থায়ী দোকান বসে এই ফুটপাতে। ফলে সন্ধ্যায় অফিস শেষে হেঁটে ফিরতে বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী বাজার গড়ে তোলায় বাধ্য হয়ে সড়কে নেমে হাঁটতে হয়। সড়ক ধরে হাঁটার কারণে ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে ধীর গতি সৃষ্টি হয়।

গুলশানে অফিস শেষ করে প্রতিদিন উত্তর বাড্ডায় বাসায় ফেরেন বেসরকারি চাকরিজীবী বিপুল আহমেদ। তিনি বলেন, এই ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অসংখ্য দোকান বসে। ফলে পথচারীরা পায়ে হেঁটে এই ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক ধরে হাঁটেন। এটা সাধারণ মানুষের জন্য এক ধরনের বিড়ম্বনা। সংশ্লিষ্টদের উচিৎ এই ফুটপাত দখলমুক্ত করে জনসাধারণের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা।

এদিকে এই ফুটপাতের এক অস্থায়ী দোকানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই দিক দিয়ে সন্ধ্যার পর অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। অফিস থেকে ফেরার পথে ফুটপাতে বাজার করে তারা। টুকটাক অনেক জিনিসই এখানে পাওয়া য়ায়, তাই ফুটপাতে দোকান করার অনেক চাহিদা রয়েছে। আমরা লাইনম্যানকে টাকা দিয়ে ফুটপাতে বসি। পথচারীদের যাতায়াতে একটু অসুবিধা হয় ঠিকই, কিন্তু সব ধরনের পণ্য পেয়ে উপকৃতও হয় অনেকে।

Advertisement

এদিকে শনিবার সকালে জাগো নিউজের এক সংবাদ কর্মী দেখেন, ঠ্যালা গাড়িতে ইটের গুড়া ও ভাঙা ইট বস্তায় এনে গুলশান লেকের ফুটপাতে ফেলে জায়গা সমতল করা হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানগুলোর পরিসর আরও বড় করার জন্য এভাবে প্রায় প্রতিদিনই লেকের পাশে এসব ফেলা হয়। ওই সংবাদ কর্মী বিষয়টি তার মোবাইলে ভিডিও করেন।

শনিবার রাতে এই ফুটপাতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে থাকা অস্থায়ী দোকানগুলো এবং হকারদের তুলে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে তারা শনিবার রাতে সেখানে আগের মতো করে আর বসতে পারেনি।

উচ্ছেদ কাজে অংশ নেয়া পুলিশ সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, এই ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান বসানোর কারণে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হয়। যে কারণে আমরা এসব অস্থায়ী দোকান তুলে দিচ্ছি।

পাশেই থাকা আরেক পথচারী সাব্বির আহমেদ বলেন, এই ফুটপাতে অসংখ্য মানুষের চলাচল। কিন্তু এসব হকারদের কারণে যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়। ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে এদের উচ্ছেদ করা উচিৎ। কারণ সড়কে যানজট থাকে তাই বাধ্য হয়ে মানুষ অল্প দূরত্বে হেঁটে যেতে চায়। কিন্তু ফুটপাতে এসব দোকান থাকার কারণে আমরা হাঁটতে পারি না। বাধ্য হয়ে সড়কে নেমে হাঁটতে হয়।

Advertisement

এএস/এমএসএইচ/এমএস