বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ যাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের ফ্লাইটে তীব্র আসন সংকট ও দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধিতে উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
Advertisement
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম উদ্ভূত পরিস্থিতি তুলে ধরে এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছর ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলোতে আসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো বিমান ভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে। আগে যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা সরাসরি বিমানভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা বর্তমানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা ওমরাহ যাত্রীদের বিমানভাড়া ৮০-৮৫ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০-৯৫ হাজার টাকাও নেয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া দিয়েও ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
বিগত বছরগুলোতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বছরের নির্দিষ্ট ৬/৭ মাস (জানুয়ারি থেকে জুন) পর্যন্ত ওমরাহ ভিসা প্রদান করলেও চলতি বছর থেকে সারা বছর (হজের এক সপ্তাহ বাদ দিয়ে) ভিসা প্রদান করছে। গত ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনকে ভিসা দিয়েছে। বিমানে আসন সংকটের কারণে বহু ওমরাহযাত্রীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র রোজার মাসে সময়মতো টিকিট না পেলে ২০ হাজার যাত্রী ওরমাহ পালন করতে পারবেন না। আর্থিক বিবেচনায় ৯০ থেকে ১০০কোটি টাকার আর্থিক লোকসান হবে।
Advertisement
সরকারের অভিবাসন ব্যয় কমানো নীতিমালা থাকলেও বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের বিমানভাড়া বাড়ার কারণে অভিবাসন ব্যয় অনেক বেড়েছে। অসহায় গরিব অভিবাসন প্রার্থীরা বর্ধিত টাকার ব্যয় বহন করতে না পারার কারণে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বা ভিসা বাতিল হচ্ছে। তাছাড়াও ছুটিতে আসা অনেক অভিবাসীরা বিমানের আসন সংকট ও ভাড়া বাড়ার কারণে গন্তব্যে ফিরতে পারছেন না।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা অভিবাসীদের বিমান ভাড়া ৬০-৬৫ হাজার টাকা যেখানে আগে ২২-২৪ হাজার টাকা ছিল। অতিরিক্ত বিমানভাড়ার টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আকারে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।
সমস্যা সংকট সমাধানে তিনি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবনা পেশ করেন।
স্বল্পমেয়াদি সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যেসব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক সে সকল রুটের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান্য গন্তব্যে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এতে বিমান লাভবান হবে এবং ওমরাহযাত্রীসহ সকল মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীরা উপকৃত হবে।
Advertisement
দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ওপেন স্কাই করা বা তাদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জসমূহ কমানো ও মওকুফ করা যেতে পারে।
এমইউ/এমবিআর/জেআইএম