বিএনপির গতিশীলতা বাড়াতে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘মাসে একবার হলেও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির বসা উচিত।’
Advertisement
রাজনীতিতে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এ অনুষ্ঠান আয়োজক।
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে সংলাপ চালু রাখা দরকার। একটা দল যখন গঠিত হয়, কার্যকর থাকে তখন তার অনেক স্তর থাকে। আজকে চেয়ারপারসন কারাগারে আছেন, অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান অনেক দূরে আছেন। স্টান্ডিং কমিটি আছে, এর নিচে অনেকগুলো স্তর আছে যে স্তরগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গ্রুপ করে মাসে একবার করে আলোচনা করা দরকার, আমরা কি করছি, কি করা উচিত। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেও মাসে একবার বসা উচিত।’
Advertisement
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘এই কারণে যোগাযোগ রক্ষা দরকার কারণ যুগটা সঙ্কটময় যুগ, বিশ্বময়, পৃথিবীর সর্বত্র গণতন্ত্র ধাক্কা খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হবে নিজেদের মধ্যে পরস্পরদের মধ্যে কিভাবে পথটাকে সহজ সুন্দর করা যায়। কিভাবে গতিশীল করা যায়। সঙ্কট সমাধানের জন্য নিজেদের মধ্যে ঐক্য আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র চলে গেছে। একদলীয় ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাকশালের কথা উচ্চারিত হয়।’
খালেদ জিয়ার রাজনৈতিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, একজন গৃহবধূ থেকে হাল ধরলেন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির। তিনি মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় বেগম জিয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্মের প্রতীক।
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জয়যাত্রার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/জেএইচ/পিআর