গরু নিয়ে মাতামাতির অন্ত নেই ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। কিন্তু রাস্তার একটি গরু তাদের দলীয় এক সাংসদকে গুঁতো দিয়ে পাঁজর ভেঙে দিয়েছে। আহত ওই সাংসদ এখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Advertisement
ভূক্তভোগী ওই সাংসদের নাম লীলাধর বাঘেলা। তিনি গুজরাট প্রদেশের একটি আসন থেকে নির্বাচিত লোকসভার সাংসদ। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, লীলাধরের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। তবে ভূক্তভোগী ওই সাংসদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সাংসদের ওপর মর্মান্তিক এই ‘গো হামলার’ পর গান্ধীনগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় থাকা গরু ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন>> ধর্ম ভুলে প্রেমের কাছে এই প্রথম হারল আমিরাত
Advertisement
লীলাধর বাঘেলা নামের ৮৩ বছর বয়সী ওই সাংসদ একসময় গুজরাট রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বাড়ির পাশেই রাস্তার একটি গরুকে রাতের বেঁচে যাওয়া কয়েকটি রুটি খাওয়াতে গিয়েছিলেন লীলাধর। কিন্তু আচমকাই গরুটি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শিং দিয়ে গুঁতোতে শুরু করে।
ঘটনা অন্যদের নজরে আসার পরপরই তাকে স্থানীয় গান্ধীনগর বেসামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার শ্বাসকষ্টও শুরু হলে অন্য আরেকটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল বুলেটিনে জানিয়েছে, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলছে আহত সাংসদের। পরিস্থিতির অগ্রগতি হয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আরও পড়ুন>> মাদক কারবারিদের সাহায্য করায় টিয়া পাখি ‘গ্রেফতার’
Advertisement
সাংসদের ওপর এই ‘গো হামলার’ পর পুলিশ থেকে স্থানীয় প্রশাসনে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। জেলা প্রশাসক এস কে লাঙ্গা নির্দেশ দেন, যেসব গরু এলোমেলোভাবে চলাচল করছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক এস কে লাঙ্গার এমন নির্দেশের পরপরই শুরু হয় অভিযান। গান্ধীনগর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দেশ পাওয়ার পর রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত মালিক পাওয়া যায়নি এমন ৪৪টি গরু ধরে নিয়ে গেছে তারা।
এসএ/পিআর