জাতীয়

বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা আরও ২ দিন

‘স্যার, গরমে তো চান্দি গরম, আপনেরা তো শিক্ষিত মানুষ, কইতে (বলতে) পারেন কহন (কখন) বৃষ্টি অইবো (হবে)।’

Advertisement

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর আনুমানিক ১২টায় রাজধানীর নীলক্ষেতে সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সামনে যানজটে আটকে থাকা সেরাজ আলী নামের এক রিকশা চালক গামছা দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে পাশে মোটরসাইকেলে থাকা এ প্রতিবেদকের কাছে বৃষ্টির কবে হবে তা জানতে চান।

রিকশা চালককে গরমে হাঁপাতে দেখে রিকশার যাত্রী এক ভদ্রমহিলা নিজের ছাতা বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, নেন আপাতত মাথার ওপর ছাতা ধরে চালান। ঘর্মাক্ত রিকশা চালক কৃতজ্ঞ চিত্তে যাত্রীর মুখ পানে চেয়ে বলেন, আপা, ছাত্তি (ছাতা) ধইরা রিকশা চালাইতে পারুম না।

শ্রমজীবী রিকশা চালক সেরাজ আলীর মতো গরমে নাভিশ্বাস সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। কায়িক পরিশ্রম যারা করেন তারা প্রচণ্ড গরমের তাপে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন।

Advertisement

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রশীদ জানান, আগামী দুই দিনেও রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ১৩ মে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দুপুর ১২টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াম রেকর্ড করা হলেও দুপুরের পর তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন ধানমন্ডি ও লালবাগ ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড তাপে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ রীতিমতো হাঁপাচ্ছেন। দরদর করে ঝরছে ঘাম। অনেকে রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করলেও ঝলসানো রোদে তারাও ঘামছেন।

দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে গরমে ক্লান্ত হয়ে রিকশা চালকদের কেউ কেউ রিকশার ওপরে ঘুমাচ্ছেন আবার কেউবা রিকশার পাশেই বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

শুক্রবার ছুটির দিনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুল শিক্ষকের কাছে কোচিং করাতে নিয়ে এসেছিলেন কলাভবন বশিরউদ্দিন রোডের বাসিন্দা শাহনাজ বেগম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মেয়ের কোচিং শেষে বাসায় নিয়ে যাব। রোজা রেখে এত্তো গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

এদিকে রমজানের প্রথম শুক্রবার জুমার নামাজে প্রতিটি মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। জুমার নামাজ শেষে অনেককেই ঘামে ভিজে মসজিদ থেকে বের হতে দেখা যায়।

এমইউ/এএইচ/এমএস