বয়স হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে নিজের সম্পত্তি স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছিলেন কানাডার বাসিন্দা আব্রাহাম রেয়েসের খালা। সেই সময় বড়সড় দেখতে পাথরের মতো একটি বস্তু আব্রাহামের ভাগে পড়ে। তবে এটি মোটেও কোনো সাধারণ পাথর ছিল না। এটি ছিল প্রাকৃতিক মুক্তা, যার ওজন ২৭.৬৫ কেজি।
Advertisement
ঘি রঙের এই প্রাকৃতিক মুক্তাটির বয়স আনুমানিক এক হাজার বছর। একটি বিশালাকৃতির ঝিনুকের ভেতর এর সন্ধান মেলে। ফিলিপাইনের এক মত্স্যজীবীর কাছ থেকে আব্রাহামের দাদা এটি কিনে এনেছিলেন। পরে ১৯৯৫ সালে এটি উপহার দেন তার খালাকে। সেই থেকে পাথর হিসেবে আব্রাহামের খালার কাছেই ছিল মুক্তাটি। কিন্তু পরিবারের কেউই এতদিন পর্যন্ত জানতেন না যে, এই পাথরের মতো বস্তুটি আসলে একটি প্রাকৃতিক মুক্তা। কারণ, এটি দেখতে প্রচলিত মুক্তার মতো নয়।
পাথরটি আব্রাহামের হাতে আসার পর তার মনে কৌতূহল জাগে। সম্প্রতি সেটি পুরাতত্ত্ববিদদের দেখান তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা জানান, এটি আসলে প্রাকৃতিক মুক্তা। আর এর বর্তমান বাজার মূল্য ৬ থেকে ৯ কোটি মার্কিন ডলার।
পুরাতত্ত্ববিদদের ধারণা, এটিই বিশ্বের সব থেকে বড় প্রাকৃতিক মুক্তা। এর ওজন ২৭.৬৫ কেজি। সম্প্রতি এক কানাডিয়ান ব্যক্তি মুক্তাটি সবার সামনে এনেছেন। ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুক্তাটির নাম রাখা হয়েছে ‘গিগা পার্ল’।
Advertisement
আব্রাহাম জানান, এটি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। মুক্তাটি এখন একটি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি বিশাল অক্টোপাসের বাহু বন্ধনে রাখা হয়েছে। মুক্তাটি বিক্রি করবেন না আব্রাহাম। তবে সবার দেখার সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন জাদুঘরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন। তার মতে, এ রকম একটি জিনিস যে আছে, তা সবার জানা দরকার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএসএইচ/এমএস
Advertisement