রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেই বাগানের সব লিচু পেড়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনের বাগান থেকে তারা সব লিচু পেড়ে নেন।
Advertisement
বাগানের ইজারাদার আব্দুল্লাহ ইবনে মনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা এক লাখ বায়ান্ন হাজার টাকায় লিচু বাগানটি ইজারা নিয়েছি। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের আটজন নেতাকর্মী বাগানে এসে আমাদের দুই প্রহরীকে বেঁধে রেখে গাছ থেকে লিচু নামান। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাড়াহুড়ো করে পালানোর সময় তাদের দুজন গাছ থেকে পড়ে যান। তখন আমরা তাদের দুজনকে ধরে মেরেছিলাম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক শাহিন আলম বলেন, বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা মনিরসহ বিভিন্ন হলের ২০-৩০ জন নেতাকর্মী বাগানের বিভিন্ন গাছ থেকে লিচু নামাচ্ছিলেন। তখন আমি গিয়ে তাদের নাম জানতে চাওয়ায় এক ছাত্রলীগ নেতা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা লিচু খাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাবি ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ-সম্পাদক মনিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে লিচু পাড়ার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনার পর বাগান মালিক পলাতক রয়েছেন। এখন ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মতো করে বাগানের লিচু পেড়ে খাচ্ছে।’
Advertisement
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লিচু খাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারবো না।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকয়া হলের পেছনে লিচু পাড়তে যান ছাত্রলীগ নেতা কানন ও মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় তাদেরকে বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক লিচু পাড়তে বাধা দেন। তখন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙে যায় ও মেহেদীর পায়ে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সালমান শাকিল/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement