কখনও কখনও মেজাজ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। লিভারপুলের কাছে লজ্জার হারে বার্সেলোনা বাদ পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে। দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসির মন খারাপ থাকারই কথা।
Advertisement
এরই মধ্যে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের কাছে হেরে ফেরার পথে বিমানবন্দরে মেসিকে শুনতে হলো দুয়ো। সমর্থকরা যা-তা বলে যাচ্ছিলেন। জবাবে মেসি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি কি করেছি, আমি কি করেছি?’
স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি মেসি। শান্ত হননি অ্যানফিল্ডে দলকে সমর্থন দিতে আসা সমর্থকরাও। সবমিলিয়ে বিমানবন্দরে অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতি।
জিততে হবে ৪ গোলে, অক্ষত রাখতে হবে নিজেদের জালও-লিভারপুলের সামনে ছিল প্রায় অসাধ্য এক সমীকরণ। বার্সেলোনার জন্য ঠিক উল্টো, প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল আরনেস্তো ভালভার্দের দল।
Advertisement
সেখান থেকে পা ফস্কে নিচে পড়ে গেল বার্সেলোনা। অসাধ্য সাধন করে ৪-০ গোলে জিতল লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে জার্গেন ক্লপের দলই নাম লিখিয়েছে ফাইনালে।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যেন মাঠ ছাড়তেও কষ্ট হচ্ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের। আলাদা করে বলতে হয় লিওনেল মেসির কথা, দলের সেরা তারকা তিনি। এমন এক লজ্জার পরাজয়ের সাক্ষী হবেন, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবতে পারেননি বার্সা সুপারস্টার। তার চেহারায় হতাশার ছাপও ছিল সবার চেয়ে গাঢ়।
আনফিল্ডে এমন হারের পর মেসিকে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সেলোনা দল। আনফিল্ডে থেকে যান মেসি। তার যে তখনও আরেকটি কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচের পরই ডোপ টেস্টের জন্য ডাকা হয় মেসিকে। সেখানে যতটুকু সময় লাগার কথা, লাগলো তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে দলের অধিনায়ককে রেখেই বিমানবন্দরে চলে যায় বার্সেলোনা দল।
Advertisement
কাজ শেষ করে কয়েক ঘন্টা পর সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেন মেসি। তবে মিডিয়ার কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি আর্জেন্টাইন খুদেরাজ। মনটা খারাপ ছিল, এর মধ্যে সমর্থকদের দুয়ো সহ্য করা তো কঠিনই!
এমএমআর/এমকেএইচ