জাতীয়

নেতৃত্ব পরিবর্তন ছাড়া ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বিএনপি

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তন প্রয়োজন। নেতৃত্ব পরিবর্তন ছাড়া বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। দুর্নীতিবাজ, চুরি ও খুনের মামলার আসামিদের নেতৃত্বে দেখতে চায় না দলটির সাধারণ নেতাকর্মীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জোটের সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে দুর্বৃত্তের রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর এর ষোলকলা পূর্ণ করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি বলেন, বিএনপি আমলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবনে বসে দুর্নীতি আর খোয়াব ভবনে বসে ফূর্তি করতেন। এভাবে যারা এক সময় রাষ্ট্র চালিয়েছেন তাদেরকে জনগণ আর কখনো গ্রহণ করবে না। এ জন্যই জনগণ ও বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তন চান।

Advertisement

ওয়াজেদ মিয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে যখন সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয়, তখন ওয়াজেদ মিয়াকে হেনস্ত করা হয়েছে। তার ওপর মানসিক নির্যাতনও চালানো হয়েছে। যে কারণে অকাল মৃত্যু হয়েছে তার।

তিনি বলেন, ওয়াজেদ মিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, তার শ্বশুর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রনায়ক এবং স্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী। কোনো সময়ই ওয়াজেদ মিয়া এ বিষয়ে কোনো সুবিধা নেয়ার চিন্তা করেননি। তার দুটি ছেলে মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছেন। তারা দুজনই দুই ক্ষেত্রে বিখ্যাত। তাদের মা প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়েও তারা ভাবেন না। তারা যে যার কাজে ব্যস্ত আছেন। এগুলো পরিবার থেকে পেতে হয়। আর খালেদা জিয়ার দুই ছেলে একজন এসএসসি আরেকজন এইচএসসি পাস। দুর্নীতিতে তাদের নাম জগৎ জোড়া।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সমাজে ওয়াজেদ মিয়ার মতো নির্লোভ মানুষ পাওয়া বড় কঠিন। তার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি এটা দেখে যেতে পারলেন না।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি নামক মৃত লাশটি দলের অনেকেই পছন্দ করছেন না। এখন অনেকেই এই নেতৃত্বের পরিবতর্ন চাচ্ছেন।

Advertisement

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা কামাল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, অভিনেতা ড. ইনামুল হক, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, কণ্ঠশিল্পী জিনাত জাহান মুন্নী, আব্দুর রউফ, শহীদুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন পাঠান ও আফছার উদ্দিন।

এফএইচএস/এমএসএইচ/জেআইএম