জহিরিয়া জামে মসজিদ। মহিপাল মোড় থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে ফেনী শহরে অবস্থিত। আসরের পরেই ভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে এ মসজিদে। যেখানে ধনী-গরিবে, ব্যবসায়ী-ফকিরে থাকে না কোনো পার্থক্য। প্রতিদিনই হাজারও লোক এ মসজিদে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। এ মসজিদের ইফতারের কথা দেশের সর্বত্র মানুষের মুখে মুখে।
Advertisement
প্রত্যেক বছর রমজান মাসের প্রতিদিনই ইফতারের সময় এ মসজিদের তৃতীয় তলা রোজাপালনকারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুরো রমজান মাস জুড়েই চলে এ ইফতার আয়োজন।
মসজিদ কমিটির তথ্য মতে, প্রতি বছর রমজানে এ মসজিদে হাজারও লোকের ইফতারের আয়োজন করা হয়। সাধারণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ও কমিটির তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হয় ইফতারের এন্তেজাম। ২০১০ সাল থেকে চলছে ইফতারের এ নিয়মিত আয়োজন।
ফেনী শহরের স্বচ্ছল মুসল্লিরাও এ মসজিদে এসে একসঙ্গে ইফতার করেন। শহরের অন্য কোনো মসজিদে এত বড় ইফতারের আয়োজন নেই। এ মসজিদে ইফতারের মজাই আলাদা। ইফতারের মুহূর্তে অন্যরকম এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
Advertisement
মসজিদে ইমাম মুফতি হাফেজ মুহাম্মদ ইলিয়াস ইফতারের আগে ধর্মীয় আলোচনা পেশ করেন। আর সারি সারি লাইনে ইফতার পৌছে দেন আয়োজক কমিটি। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের মোনাজাতে ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গন।
আরও পড়ুন > পুরো রোজায় যে বিশেষ দোয়াগুলো পড়বেন
আর ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আজান দিয়ে ইফতারের আহ্বান জানান মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী নুর উল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, হাজারও লোকের ইফতারের এ আয়োজনে থাকে প্রায় ১০ ধরনের খাবার। ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, খেজুর, শরবত ও পায়েশ এ ইফতারের অন্যতম অনুসঙ্গ। প্রতিদিনি ১০ জন খাদেম এবং ১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের অক্লান্ত পরিশ্রমেই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ইফতারের এ বিশাল আয়োজন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম