দেশজুড়ে

বিজিবি সদস্যের স্বীকারোক্তি : হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আলোচিত জামাল হোসেন খান (৩২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিজিবির সদস্য সোয়েবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা চুয়াডাঙ্গার বিজিবি সদস্য সোয়েবের দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ির পাশের পুকুরে তল্লাসি চালিয়ে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।   এর আগে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে সোয়েবকে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে সোয়েবকে হস্তান্তরের পর জামাল হোসেন খান হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবির সদস্য সোয়েব জামালকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া সোয়েবের দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ির পাশের পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ২৯ আগস্ট জামাল খান হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা আরেক আসামি ও সলিয়াবাকপুর এলাকার বাসিন্দা আজিম সরদারকে রাঙ্গামাটির নানিয়ার চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রিমান্ডে নিয়ে অভিযানে বের করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।এর আগে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জামাল হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার রাতে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ইউসুফ খানের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ইউপি সদস্য দুলালকে। নিহত জামাল খানের স্ত্রী তানিয়ার অভিযোগ সোয়েবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দুবাই প্রবাসী বারেক হাওলাদারের স্ত্রী তানিয়া বেগমের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। জামাল বাধা দেয়ায় সোয়েব ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্বামী জামালকে পরিকল্পিতভাবে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।উল্লেখ্য, ১৭ জুন উপজেলার চাখার বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন খাল থেকে জামাল খানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জামালের ভাই কালাম খান বাদী হয়ে ১৮ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাদারকাঠী গ্রামের বিজিবি সদস্য সোয়েবের মা জয়নোব বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রিমান্ডে জয়নব বিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী জামাল হত্যার সঙ্গে জড়িত আজিম এবং দুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও তার ছেলে বিজিবি সদস্য সোয়েবকে গ্রেফতার করা হয়।সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর

Advertisement