আগামী ১২ মে লোকসভা নির্বাচনের ৬ষ্ঠ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। রাজনৈতিক নেতারা একে অপরে কর্মকাণ্ড নিয়ে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। কখনও আবার চলছে ব্যক্তিগত আক্রমণও।
Advertisement
অনেক সময় তাদের এই আক্রমণ সব কিছুকে অতিক্রম করে যায়। এবার রাজীব গান্ধি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
কিছুদিন আগেই রাজীব গান্ধিকে ‘দুর্নীতিবাজ’ এবং ‘ভ্রষ্টাচারী’ বলে কটাক্ষ করেন মোদি। এমন মন্তব্যের জন্য বিরোধী নেতাদের তোপের মুখেও পড়েন তিনি। মোদি বলেছিলেন, দুর্নীতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি ছিলেন এক নম্বরে। তার জুরি মেলা ভার। দেশের জনগণ তাকে যতই মিস্টার ক্লিন বলুক না কেন উনি ছিলেন একজন ভ্রষ্টাচারি।
আগামী ১২ মে দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। বুধবার দিল্লির রামলিলার একটি জনসভায় নির্বাচনী প্রচারণায় যান মোদি। ওই সভাতেই তিনি দাবি করেন, রাজীব গান্ধি ও তার পরিবার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিরাটে করে বেড়াতে যেত। আইএনএস বিরাট নাকি রাজীব গান্ধির পরিবারের কাছে ‘পার্সোনাল ট্যাক্সি’ ছিল। এমনটাই দাবি মোদির।
Advertisement
এই ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৭ সালে। গান্ধি পরিবার লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ১০ দিনের জন্য। সেই সময়ই নাকি এই আইএনএস বিরাটে করেই রাজীব গান্ধি তার পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ করেন। এই বিষয়টি নিয়েই গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মোদি। তিনি বলেন, সমুদ্রে আন্তর্জাতিক সীমানায় নজরদারি চালায় এ ধরণের যুদ্ধজাহাজ। সেক্ষেত্রে পার্সোনাল ট্যাক্সি হিসেবে আইএনএস বিরাটকে ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।
মোদির এমন বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা শ্রীনিবাস প্রসাদ। তিনি বলেন, দুর্নীতির অপবাদ তার গায়ে কোনদিন একটা আচড় কাটেনি। সেক্ষেত্রে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ কেউই বিশ্বাস করবেন না। এমনকী আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না ৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি ঠিকই। কিন্তু রাজীব গান্ধির বিরুদ্ধে এমনন অভিযোগ আনা খুবই অন্যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সাল থেকে এই যুদ্ধজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে সঙ্গে যুক্ত । ৩০ বছর ধরে এটি জাতীয় সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই যুদ্ধজাহাজটি বিশেষভাবে সংরক্ষিত করা হয়।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement