আইন-আদালত

ওয়াসার পানি ঢাকার কোন এলাকায় বেশি দূষিত?

ঢাকায় ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি দূষিত (অনিরাপদ) তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

বুধবার (৮ মে) এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে শুনানিকালে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে পানি পরীক্ষায় কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি তুলে ধরা হয়।

Advertisement

এছাড়াও ওই প্রতিবেদনে ওয়াসাকে মোট ১১টি জোনে ভাগ করে পানি পরীক্ষার কথা বলা হয়। পাশাপাশি অর্থায়ন পাওয়া গেলে চার মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এরপর আদালত কোন কোন এলাকার পানি বেশি দূষিত ও অনিরাপদ সেসব এলাকা চিহ্নিত করে জানানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া পানি পরীক্ষায় অর্থায়ন কে করবে এবং কী পরিমাণ অর্থায়ন প্রয়োজন হবে সেটা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুকে জানাতে নির্দেশ দেন। পরে আদালত ১৩ মে পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ।

ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

Advertisement

ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু বুধবার (৮ মে) অন্য এক অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে পানি পরীক্ষায় কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়।

এফএইচ/এএইচ/পিআর